ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক স্পীকার কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদকে আবার লেবার পার্টি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পার্টির গঠনতন্ত্র বিরোধী তৎপরতার অভিযোগে গত বুধবার লেবার পার্টির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির ডিসপোট প্যানেল এক সিদ্ধান্তে তার সদস্যপদ খারিজ করে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্যে বৃহস্পতিবার টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির চেয়ার ক্রিস ওয়েভার্সকে অবহিত করেছে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি।
উল্লেখ্য টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্রোমলি নর্থ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদ কাউন্সিলের স্পীকারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মহিলা কাউন্সিলর এবং দলীয় মহিলা সদস্যদের বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগে এর আগেও একবার লেবার পার্টি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন।
এবার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির ডিসপোট প্যানাল কর্তৃক সদস্যপদ প্রত্যাহারের ফলে কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদ লেবার পার্টির কোনো মিটিং এবং কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার অধিকার হারিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে কোনো নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না বলে জানা গেছে। এ কারণে আগামী মে মাসের কাউন্সিলর নির্বাচনে ব্রোমলি নর্থ ওয়ার্ডে পুনরায় দলের প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে এক চিঠিতে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির সেক্রেটারী আফসানা বেগমকে জানিয়েছেন চেয়ার ক্রিস ওয়েভার্স।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, হোয়াইচ্যাপল ওয়ার্ডে গত উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে মেয়র জন বিগসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন বলে কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ক্রিসপ স্ট্রীট মার্কেট ইস্যুতেও কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদের ভুমিকা বেশ বিতর্কিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি দলীয় মেয়রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বরং পিপলস এলায়েন্স পার্টির মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলর রাবিনা খানের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করেছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির ডিসপোট প্যানেল কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদকে লেবার পার্টি থেকে বরখাস্ত করেছে বলে জানা গেছে।
যদিও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও কাউন্সিলর খালিস উদ্দিন আহমদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরখাস্ত হওয়া প্রসঙ্গে কাউন্সিলর খাালিস উদ্দিন আহমদের বক্তব্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ব্রিটবাংলার পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হবে। তবে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর খালিস হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এ জন্যে তার সহযোদ্ধারা ফান্ড রেইজিংও করছেন বলে জানা যায়।