পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করেছে। ফেরি চলাচল শুরু পর থেকে পাটুরিয়াঘাট এলাকায় নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী পারাপার শুরু করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।তবে দীর্ঘ সময় নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক মিলে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দীন রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশায় ফেরির দিক নির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্টতার কারণে পদ্মা নদীর মাঝখানে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন নিয়ে একটি ফেরি আটকা পড়ে। পরে দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।এরপর থেকেই ঘাট এলাকায় দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সারি। শীত আর ঘন কুয়াশার মধ্যে বাসের যাত্রী, যানবাহনের চালক ও সহযোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রী ভেগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস ও ছোট গাড়ি এবং জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌপথ পারাপার করা হচ্ছে।এতে ঘাট এলাকায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা নদী পারের সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে অপেক্ষায় থাকা এসব সাধারণ ট্রাক চালক ও সহযোগীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে ফেরির দিক নির্দেশনামূলক বাতির আলো ম্লান হয়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি দীর্ঘ হয়েছে। তবে কুয়াশা কমে যওয়ায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৬ ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি নৌপথে চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী পারাপার করা হচ্ছে।