ফাঁকা মাঠে ফুটবল ; দর্শক-সাংবাদিক নিষিদ্ধ!

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: খেলা মানে নির্মল বিনোদন। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানে তো তুলকালাম কাণ্ড। নিজ দেশের মান বাঁচাতে খেলোয়াড়রা মাঠে নামেন। তাদের সমর্থন দিতে গ্যালারিতে যান দর্শকরা। আর নিজ নিজ দলের নিউজ কাভার করতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় সাংবাদিকদের। কিন্তু কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ায় সবকিছুই যেন উল্টাপাল্টা। এই যেমন গত মঙ্গলবার অদ্ভুত এক খেলা হলো পিয়ংইয়ংয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে নেমেছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। মাঠের খেলার চেয়ে আলোচনায় এসেছে আয়োজকদের কাণ্ড!

দুই দেশের বন্ধুত্ব সাময়িক, কিন্তু শত্রুতা যেন চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাংবাদিকদের মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল! শুধু সাংবাদিক নয়, মাঠে প্রবেশাধিকার ছিল না সাধারণ দর্শকদের। কেবল উত্তর কোরিয়ার সরকারঘেষা কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায় মাঠে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। ম্যাচে কেউ জেতেনি, কোনো গোল হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, দেশে ফিরে দক্ষিণ কোরিয়ানদের উপলব্ধি তারা যেন যুদ্ধ করে ফিরেছে।

মাঠে সাধারণ দর্শক না থাকলেও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। এই ‘দর্শক’দের মধ্যে ছিলেন গতকাল বাংলাদেশ সফরে আসা ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। সাংবাদিক নিষিদ্ধ তো ছিলই, সেই সঙ্গে টিভিতেও ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়াকে ম্যাচের আগেই দর্শক না আনার জন্য বলে দেওয়া হয়েছিল। স্বান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াকে পুরো ম্যাচের একটি ডিভিডি দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা দেশে গিয়ে টিভিতে সেটা সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু সেই ভিডিওর মান নাকি বেজায় খারাপ।চে কেউ জেতেনি, কোনো গোল হয়নি।

Advertisement