ব্রিটবাংলা ডেস্ক : শবে কদরের রাত থেকে মসজিদে আলকসা এবং গাজায় হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েলী বাহিনী। এখনো থামেনী। সর্বশেষ গাজায় একটি রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলী বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন। এরমধ্যে ৮জনই শিশু। শনিবার রাতে অপর এক হামলায় একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। এই ভবনে এপি এবং আলজাজিরার অফিস ছিল। ট্যাঙ্কারের গুলি এবং বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১শ ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪০ শিশু এবং ২২ জন মহিলা রয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলী বাহিনীর এই তান্ডব বন্ধ এবং দখলদারমূক্ত ফিলিস্তিনের দাবীতে শনিবার লন্ডনে বিশাল বিক্ষোভ হয়।
ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ধ্বনিতে মুখরিত ছিল সেন্টাল লন্ডন। দুপুর ১২টা থেকে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জমায়েত হতে থাকেন হাইডপার্কে। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের হাত ধরে এসেছিল পুশ চেয়ারে বসা ছোট্ট শিশুরাও। নিপীড়িত প্যালেস্টানীদের প্রতি সহমর্মীতা জানাতে হুইল চেয়ারে বসেও এসেছেন কেউ কেউ। বিক্ষোভকারীদের হাতে ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ বোম্বিং গাজা, ফ্যাসিজম রিটার্ন, ইত্যাদি শ্লোগান লেখার ভেনার, ফেস্টুনের সাথে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা। হাইড পার্ক থেকে কেনসিংটনের ইসরায়েলী এম্বেসী উদ্দেশ্য করে আসা বিশাল র্যালির সামনে ছিল সুসজ্জিত একটি সাইকেল র্যালিও।
শান্তিপূর্ন র্যালিতে ছিল পুলিশের কঠোর নজরধারী। আকাশে হেলিকপ্টার থেকে নজরধারীর পাশাপাশি রাস্তায় ছিল পুলিশ। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন, ফ্যান্ডস অব আলকসা, প্যালেস্টাইনি ফোরাম ইন ব্রিটেন, স্টপ দ্যা ওয়ার কোয়ালিশন এবং দ্যা মুসলিম এসোসিয়েশন অব ব্রিটেন যৌথভাবে এই বিশাল প্রতিসমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রায় ১শ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিল।
কেনসিংটন হাইস্ট্রীটে ইসরায়েলী এম্বেসীর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক লেবার লিডার জেরেমি করবিন, বর্ষিয়ান লেবার এমপি ডায়ান এবোট, ফিলিস্তিনের এম্বেসেডরসহ আরো অনেকে। সমাবেশ থেকে গাজায় ইসরায়েলী হামলা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলীদের দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।