ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা মহামারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সারিতে থেকে সেবা প্রদানকারী নার্সদের বেতন ১ শতাংশের বেশি বাড়ানোর যথেস্ট অর্থ নেই সরকারি তহবিলে। অর্থ সংকটের কারণে বেতন বাড়ানো হয়নি শিক্ষক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ পাবলিক সেক্টরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীর। কিন্তু এই সংকটের মাঝেই টেন ডাউনিং স্ট্রিটের পাশে ৯ ডাউনিং স্ট্রিটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রায় ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন!
না। নতুন কোনো বান্ধবী বা নতুন সংসার সাজানোর জন্য নয়, হোয়াইট হাউস স্টাইলে মিডিয়া ব্রিফিংয়ের জন্য ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ৯ ডাউনিং স্ট্রিটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে লাইভ টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারী এলেগ্রা স্ট্রাটন হোয়াইট হাউস স্টাইলে নিয়মিত ব্রিফিং দেবেন।
এরিমধ্যে এই ব্রিফিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে গেছে। নতুন এই মিডিয়া সেন্টারটি সাজাতে সর্বমোট ২, ৬০৭, ৭৬৭. ৬৮ পাউন্ড ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো পরিবর্তনে ব্যয় হয় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন পাউন্ড। আর দীর্ঘ মেয়াদী আসবাবপত্র ক্রয়ে প্রায় ২শ হাজার পাউন্ড এবং ব্রডবোন্ডখাতে প্রায় ৩৩ হাজার পাউন্ড ব্যয় করা হয়।
নিউজ এজেন্সী প্রেস এসোসিয়েশনের অনুরোধে ফ্রিডম অব ইনফরমেশনের অধিনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেবিনেট অফিস।
এদিকে লেবার পার্টি এর সমালোচনা করে বলেছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর বিলাসি প্রজেক্ট। এনএইচএস নার্সদের বেতন বাড়ানোতে অগ্রাধিকার না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বিলাসিতায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলে দাবী করেছে লেবার। নার্সদের মাত্র ১ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মবিরতীতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে নার্সদের ইউনিয়ন।