দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। নতুন করে করোনাভাইরাস বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এর আগে, ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দেশের বিচারব্যবস্থা কার্যত বন্ধ ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে আইন হয়। ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে।তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই চলে আসছিল। দেড় বছরের বেশি সময় এ প্রক্রিয়ায় বিচারকাজ চলার পর গত ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়। তবে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ভার্চুয়ালি চালানোর সিদ্ধান্ত আসে। সপ্তাহে চার দিন (রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) ভার্চুয়ালি বিচারকাজ পরিচালনা করবেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার ভার্চুয়াল আদালতে ফেরার ইঙ্গিত দেন প্রধান বিচারপতি।
বুধবার থেকে ভার্চুয়াল আদালত
Advertisement