আহাদ চৌধুরী বাবু : গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে মধুমাস বলে একটা সময় আসে।
স্কুলে তখন গ্রীস্মের ছুটি। কিন্তু ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ছুটিকে বলে আম কাঁঠালের ছুটি।
এই সময়টাই হচ্ছে ফল-ফসলের। গাছে গাছে নতুন নতুন ফল।
বাচ্চারা ছুটে যায় মামাবাড়ি। এমন দিনে মামার বাড়ি আম কুড়াতে সুখ। অন্যদিকে নাতি- নাতনি আর জামাই যেনো ফলের স্বাদ থেকে বঞ্চিত না হয় এই ভেবে মধুমাসে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আম-কাঁঠাল পাঠান বাবা-মায়েরা।
মেয়ের বাড়িতে বাবা মায়ের পাঠানো এই উপহারকেও আম-কাঁঠালি বলা হয়ে থাকে।
গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী আম কাঁঠালের সেই উৎসব অনুষ্ঠিত হলো পূর্ব লন্ডনের ব্যাডি আর্ট সেন্টারে ৷
লন্ডনের মহিলা অঙ্গনের আয়োজনে শনিবার উৎসবের শুরু হয় দুপুর একটায়। চলে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।
আম কাঁঠালের এই উৎসবে শতভাগ বাঙালীআনাকে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা ছিলো লক্ষ্য করার মত । বাড়তি আয়োজনে ছিলো বৈচিত্রতা ৷
বাঙালী খাবার হরেক রকম পিঠা পায়েস আচার চাটনী সহ হস্তশিল্প তৈরী পোষাক শাড়ী গহনার ‘স্টল উপস্থিত অতিথিদের জন্য প্রতিযোগীতা ছিলো বাড়তি আনন্দ যোগ। খেলাগুলোর মধ্যে পুরুষদের রুটি বানানো সুইয়ের মধ্যে সুতো প্রবেশ করানোর খেলা ছিল আরো মজার।
মহিলাদের মিউজিক্যাল চেয়ারসহ অনেক আয়োজন ছিলো ৷
বিশেষ করে আর্টিষ্ট হোসনা পারভীনের তত্বাবধানে আর্ট এবং ক্রাফ্ট এর আয়োজন ছিলো শিশুদের জন্য বাড়তি পাওনা ৷
উৎসবের শুরুতে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টাওয়ার হ্যামলেট প্যারেন্ট সেন্টারের চেয়ার ও ব্রিকলেইন জামে মসজিদের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাজ্জাদ মিয়ার সভপতিত্বে ও সংস্কৃতি কর্মী সাঈদা চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র মর্তুজা আলী, ডাইরেক্টর আব্দুল হান্নান , কাউন্সিলার আয়েশা চৌধুরী ও মহিলা অঙ্গনের চেয়ার ফেরদৌস রহমান ৷ হেলদী ইটিং নিয়ে একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়৷
আলোচনায় বক্তারা বলেন, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও ব্রিটেন এর বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখে প্রজন্মের সেতুবন্ধন এবং স্বদেশ এর মমতা মাখানো ঐতিহ্যকে তুলে ধরেতে কাজ করছে মহিলাঅঙ্গন । অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সঙ্গিত এর আয়োজন করা হয়৷
আয়োজকদের পক্ষে চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন আমরা সবার সহযোগীতায় ঐতিহ্যকে ধারণ করে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে চাই ।
ACB17#