বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী “মাদার অফ ডেমোক্রেসী” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ওপর সকল রাজনতৈকি মামলা প্রত্যাহার, কারাগারে বন্দী বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবীতে গত ১৫ এপ্রিল, সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং লন্ডন মহানগর বিএনপি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে বিএনপি, জোনাল কমিটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রর্দশন করেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
বাংলাদেশের র্বতমান স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধের নানা শ্লোগানে মুখরিত করে পুরো পার্লামেন্ট স্কয়ার। সভাপতির বক্তব্যে এম এ মালিক বলেন, “মাদার অফ ডেমোক্রেসী” বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে করে বিনা কারণে সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সর্ম্পূণ অন্যায়ভাবে নির্জন কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশব্যাপী আওয়ামীলীগের লোকেরা ধর্ষণ আর রাহাজানিতে জড়িয়ে পড়েছে।
ন্যায় বিচারের অভাবে জনগন নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। তিনি বলেন প্রবাসে আওয়ামীলীগের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।
সম্প্রতিকালে গ্রীসে আওয়ামী বাকশালীদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেওয়ায় তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে থেকে গ্রীস বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি অনতিবিলম্বে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। একই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারসহ সারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে রাজবন্দী বিএনপির সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, কামাল উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সদস্য মিসবাহুজ্জামান সোহেল, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা, যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, জাসাসের সভাপতি এমাদুর রহমান এমাদ, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত বাদশা, যুবদলের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মাখন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাবেক সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সরফরাজ আহমেদ সরফু, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাদল, নিউহাম বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, কেন্ট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল ইসলাম রুলু, বিএনপি নেতা মো: শামীম আহমদ, ডক্টর তৌকির শাহ, লন্ডন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সোহেল শরীফ মোহাম্মদ করিম, মোঃ তোফায়েল আহমদ, মো: আশরাফুল আলম, মো: হেদায়েতুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ রহমান আলী, মোঃ রুহুল আমীন, মোঃ জামাল মিয়া, মোঃ আব্দুস সহিদ, চেরাগ আহমদ, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সহসভাপতি আকলিমুর রেজা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম সোহেল, মশহুদ আহমেদ, হাসান শিবলি, মোঃ আশিকুর রাহমান, মহানগর বিএনপির মোহাম্মদ সুমন মিয়া, নাসির উদ্দিন সানি, কামরুজ্জামান চৌধুরী, আনিসুজ্জামান, আল কবির আব্দুল ওহাব, সামিউজ্জামান সিদ্দিকি, মোহাম্মাদ সাইফুল আলম, সালমান সাদি, মোঃ তাঞ্জিল ইসলাম, যুক্তরাজ্য যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বাবর চৌধুরী, প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো: মোশাররফ হোসনে ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ এনাম তানিম, সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আলম মুরাদ, আব্দুল কাদির জিলানী, মো: ফয়েজ উল্লাহ, মোঃ তারেক ইকবাল, সায়েদ আহমেদ, মোঃ মহিন উদ্দিন, আব্দুস সামাদ রাজ, নুরুল আফসার লিমন,নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি