মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান ব্রিটবাংলা ইষ্ট লন্ডন প্রতিনিধিঃ
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে,”বাংলাদেশে একদলীয় শাসনের উত্থান এবং বিচার বিভাগের ধ্বংস” এই শিরোনামে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ।ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি এলায়েন্সের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি বারিস্টার আফজাল জামি সৈয়দ আলী ।
এলায়েন্সের চীফ আডভাইজার সাবেক কাউন্সিলার মুজাক্কির আলীর পরিচালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি ফয়জুন নূর ।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন লর্ড নাজির আহমেদ, শ্যাডো হেলথ মিনিস্টার জুলি কুপার এমপি, হুইপ অ্যান্ড্রু স্টিফেনসন এমপি, গ্রেইগ হুইটেকার এমপি ।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার এবং বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির মেম্বার নাইজেল এভান্স এমপি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন মিশন শেষে, সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে এসে সেমিনারে অংশ নেন ।বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শনে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ও গভীর উদ্যোগ প্রকাশ করেন ।
উক্ত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন কার্ডিফ উনিভার্সিটির সাবেক প্রফেসর ডঃ মালেক, সৈয়দ মামনুন মুর্শেদ , ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ এবং গবেষক আলিয়ার হোসাইন, ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান সহ আরও অনেকে।
সুশাসন আর ন্যায় বিচার কিভাবে পরস্পর সম্পূরক তা বক্তারা আলোচনা করেন ।নসরুল্লাহ খান জুনাইদ এবং ডক্টর মুহাম্মদ রুহুল আমিন খন্দকার একদলীয় শাসন ব্যাবস্থায় মত প্রকাশের বাঁধা এবং সরকারের দমননীতি তুলে ধরেন ।
ডক্টর খন্দকার জানান কিভাবে তাকে অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয় এবং আইনী বেড়াজালে জড়ানো হয় ।
ব্যারিস্টার গিয়াসউদ্দিন রিমন তার আলোচনায় বলেন- সরকার দলীয়করনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত করেছে ।
তিনি আরও বলেন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে ।একাকী পরিত্যাক্ত কারাগারে রাখায় তিনি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ কারাবন্দী ।
ব্রিটিশ এমপিরা সুস্পষ্ট করে বলেন যে, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের নিজদেশের বৈধ প্রতিনিধি দাবি করার নৈতিক শক্তি নাই ।
যদিও তারা সচেতন আছেন যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মাদার অফ হিউম্যানিটি দাবি করে প্রচার করেন ।
লর্ড নাজির আহমেদ বলেন “হাস্যকর ও ভিত্তিহীন” এসব দাবীর বিষয়ে তারা সচেতন রয়েছেন ।
তারা বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন ।
উপস্থিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাথে আরো একমত হন যে, আগামী এপ্রিল মাসে লন্ডনে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনের আগে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে বাংলাদেশ বিষয়ে এবং বিশেষ ভাবে বিচার বিভাগে রাজনৈতিক অপ্যবহারের মাধ্যমে খালেদা জিয়া সহ বিরোধী নেতাদের জেলে পুরার ব্যাপারে তারা প্রশ্ন তুলবেন এবং বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন ভাবে যে রায় দিতে পারেনা এব্যাপারে তাদের কাছে সুস্পষ্ট উদাহারন রয়েছে এবং তারা এগুলো তুলে ধরবেন ।
তারা কমনওয়েলথ সম্মেলনের আগে থেকেই নিজ দলের এমপিদের সাথে যোগাযোগ এবং লবিয়িং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। ট্রেজারার আবিদুল ইসলাম আরজুর ধন্যবাদ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার সমাপ্ত হয় ।
Advertisement