ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ রবিবার বলেছেন, ব্রিটেন তথা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে অসুস্থ হওয়া মানুষ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই বিষয়টি আমরা কোনোভাবেই গোপন করতে পারি না। গোপন করা উচিত হবে না। কেননা যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতিও ইতালির মতোই ভয়াবহ হতে চলেছে। আর মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের অবস্থাও ইতালির মতোই ভয়াবহ হবে।’
যুক্তরাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৪০ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৮ জন। আর ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৮২৫ জন। এবং প্রতিদিনই ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৯৩ জন।
শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিলো ২৩৩ জন, যা ঠিক ৭ মার্চ তারিখে ইতালিতে মৃত্যু সংখ্যার সমান। এরপর মাত্র ১৫ দিনে ইতালিতে সাড়ে ৪ হাজার জন মারা যায়। এ বিষয়টি উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘ইতালির মতো পরিস্থিতি থেকে আমরা মাত্র দুই কি তিন সপ্তাহ পেছনে আছি।’
অথচ দেশটির মানুষ এখনো ততটা সচেতন হয়নি। এবং আশঙ্ক করা হচ্ছে রবিবারের রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া উপভোগ করার লোভ সামলাতে পারবে না যুক্তরাজ্যের মানুষজন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে তারা। আর এতে করে করোনাভাইরাসের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের হুমকির বিষয়টি গোপন করতে পারি না। যুক্তরাজ্যে হুহু করে বাড়ছে এই ভাইরাসে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। আর হয়তো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের অবস্থাও ইতালির মতোই ভয়াবহ হবে।’
‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করি এবং জাতীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ না নেই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ইতালির মতোই ভেঙে পড়বে। ইতালির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও আমাদের মতোই খুবই উন্নত ছিলো। কিন্তু জনগণের অসেচতনতার ফলে হঠাৎ করেই করোনার বিস্ফোরণ ঘটে। এবং ঘটনার আকস্মিকতায় পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা টালমাটাল হয়ে যায়। এতো বেশি রোগী আসতে থাকে যে ডাক্তার-নার্সরা হতভম্ব হয়ে যান।’
যুক্তরাজ্যে ইতিমধ্যেই বার, রেস্টুরেন্ট এবং থিয়েটার সহ সব জনসমাগমের স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারিখাতে চাকরিজীবিদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ছুটিতেও ৮০% বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
লন্ডন এবং অন্যান্য শহরগুলো লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বসবাসকারী গৃহহীনদেরকে হোটেলে নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে সরকার। মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী।