ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পর্যটন কেন্দ্র দখল নিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন (দীপু চৌধুরী)সহ মামলায় আসামি হিসেবে আরও ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার চাঁদপুরের অতিরিক্তি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসানের আদালতে মতলব উত্তরের মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের ম্যানেজার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনা তদন্ত ও আলামত উদ্ধার করে প্রতিবেদন জমা দিতে মতলব উত্তর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে মতলব থানার (ওসি) শাহজাহান কামাল সাংবাদিকদের জানান, মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র থেকে ছয়টি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে। গুলির ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। গুলির খোসা জব্দের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে পুলিশ।
আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বাদীপক্ষের পর্যটনকেন্দ্রটি জোরপূর্বক দখলে নিতে ঘটনার পূর্ব থেকেই বাদীপক্ষকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন গত ১২ই ফেব্রুয়ারি আসামিরা অর্ধশত সন্ত্রাসীসহ বেআইনি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শর্টগান, বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার ইত্যাদিসহ অতর্কিত পর্যটনকেন্দ্রের সামনে হাজির হয়।
এ সময় পর্যটনকেন্দ্রের মালিকসহ কয়েক জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা গুলি বর্ষণ করে। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গুলির শব্দ শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছে, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন, অপু চৌধুরী, আহার খালাশী, ফতেপুর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা, শাহীন চৌধুরী, সম্রাট গাজী, আজাদ খালাশী, জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান, ছাত্রলীগ নেতা তামজিদ সরকার রিয়াদ, লিখন সরকার, খোরশেদ চৌধুরী, হোসেন মেম্বার, মেহেদী হাসান কাজল, কুদ্দুস, মামুন শিকদার, আক্তার সরকার, ইউসুফ ও সুমন বেপারী।