মায়ের মমতায় দেশ চালালে সমর্থন মিলবেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মায়ের মমতা দিয়ে’ রাষ্ট্র পরিচালনা করলে জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত ‘রিডিফাইনিং দ্য ফিউচার অব উইমেন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।২০০৯ থেকে টানা ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের একটা বিষয় অনুধাবন করতে হবে, নারী কেবল নারী নয়। নারীরা হলেন মা। তাই মায়ের মমতা দিয়ে যদি আপনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, অবশ্যই জনগণ আপনাকে সমর্থন দেবে।এসময় তিনি নিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বেও যে নারীরা আছেন, সে কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পুরুষরা কী খুব দুর্বল? না, তা নয়। তারা খুব কো-অপারেটিভ। আমি অবশ্যই বিষয়টির প্রশংসা করি।বাংলাদেশের সমাজ একসময় ‘খুব বেশি রক্ষণশীল’ ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি সংবিধান দেন। সেই সংবিধানে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।নারী নেতৃত্বের বিকাশে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিষয়টিও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে ‘নারীরা কোনো সুযোগ পায়নি’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে ‘নারীদের উন্নয়নে কাজ শুরু করে’।তিনি বলেন, “আমি যখন সরকার গঠন করি, তখন কোথাও নারীর কোনো জায়গা ছিল না। তারা ছিল পুরোপুরি অবহেলিত।এসময় নারীদের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।ছাত্রজীবন থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমি দেশটাকে জানতাম, সমস্যাগুলো কী সেটা জানতাম। আমি আমার বাবার থেকে শিখেছি। আমার বাবা আমার মেন্টর। আমি শিখেছি আমার জনগণ ও দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং দরিদ্র মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয়।

সামরিক শাসকরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন এই পৃথিবীর যেখানেই সামরিক শাসকেরা শাসন করেন… তারা খুবই রক্ষণশীল। কিন্তু আমি নারীদের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দিই।শেখ হাসিনা বলেন, “এভাবেই আমি জনগণের সমর্থন অর্জন করেছি। এটাই আমার মূল শক্তি। জনগণের সমর্থন, জনগণের বিশ্বাস… জনগণ অনুভব করে যে আমি যদি এখানে থাকি (রাষ্ট্র ক্ষমতায়), অবশ্যই তারা লাভবান হবে।পরিশেষে পুরুষ সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,একজন নারী হিসেবে অবশ্যই সমস্যা রয়েছে, কিন্তু আমাদের পুরুষ সহকর্মীরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন বলে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার শক্তি।

Advertisement