লন্ডনে ইবিএফ ডিনার: জামাত নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অস্পষ্টতায় উদ্বেগ শাহরিয়ার কবিরের

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামীর নেতাদের অংশগ্রহন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তহীনতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সেমিনার পরবর্তী এক ডিনারে আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) আয়োজিত এই ডিনার আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন সংগঠক সুলতান শরীফ, ইবিএফ-এর সহসভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়–য়া, সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, সুইজারল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী নির্মূল কমিটি নেতা অরুণ বড়–য়া ও যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটি নেতা জামাল খান।
আলোচনায় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠির বহুমূখী ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করে শাহরিয়ার কবির বলেন, জোট শরীক বিএনপি’র কাঁধে ভর করে নির্বাচনের সময় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে জঙ্গী সংগঠন জামাত। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত নেতাদের ফাঁসির বদলা নিতে একাত্তরের বিভিষিকার মত অবস্থাা তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। শাহরিয়ার কবির বলেন, বিরোধী দলগুলোর সাম্প্রতিক জোটগত মেরুকরণই প্রমান দিচ্ছে জামাতের এবারের ষড়যন্ত্র অনেক পরিকল্পিত ও ভয়ঙ্কর।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে প্রার্থী হবে জামাত নেতারা। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলেছি আমরা। বলেছি যুদ্ধাপরাধী সাম্প্রদায়িক জামাতে ইসলামীর কোন নেতাকে কোন দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে দেয়া যাবেনা। এ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অস্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের অস্পষ্ট ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করে শাহরিয়ার কবির বলেন, জামাত নেতাদের নির্বাচন থেকে দুরে রাখার বিষয়ে কমিশনের এখনই সিদ্ধান্তে আসা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি জামাতে ইসলামীর আস্থাাহীনতার কারনে দলটিকে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। সুতরাং দল হিসেবে তারা নির্বাচন করতে পারবেনা এটি ঠিক। কিন্তু অন্য দলের প্রতীক নিয়ে বিতর্কিত এই দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহন আটকানো না গেলে শুধু নিবন্ধন বাতিলে তো কোন লাভ হলোনা। শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশে সহিংস রাজনীতির উত্থান জামাত নামক এই অভিশপ্ত দলটির হাত ধরেই। সুতরাং মূল শিকড় যদি উপড়ে ফেলা না যায় তাহলে জঙ্গী সহিংসতা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থেকে যাবে।
সুলতান শরীফ তাঁর বক্তৃতায় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ কামনা করে বলেন, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সরকারে পাশে দাড়াতে হবে আমাদের। গনতন্ত্র বিরোধী শক্তি মোকাবেলায় সরকারের কোন ঘাটতি থাকলে ইতিবাচক সমালোচনার মাধ্যমে তা ধরিয়ে দিতে হবে।

Advertisement