ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
গত কিছুদিন ধরে ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেশ জোরেশোরে সমালোচনা চলছে। আমি সমালোচনাকে পছন্দ করি কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো সমালোচনাতো নয়ই বরং রীতিমত বিষোদগার।
কারো পক্ষে বা বিপক্ষে লেখার কোন প্রয়োজনীয়তা কখনো বোধ করিনি তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে কিছু কিছু সমালোচনায় যে সকল শব্দ চয়ন করা হয়েছে তা প্রকৃত পক্ষে শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। তাই লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি আওয়ামী লীগের একজন নগন্য কর্মী হিসাবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার এমপি এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কিংবা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে কোন অনুদান কিংবা উপঢৌকন কোনদিন পাইনি বা পাবার আশা ও নাই।
তাই ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন রাগ কিংবা ক্ষোভ ও নাই।
ব্যক্তিগতভাবে অনেক ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করি।
উনার অনেক ভালো গুণাবলীর সাথে আমার ব্যক্তিগত অপছন্দের ও কিছু ত্রুটি আছে।
এমনকি দেশ-বিদেশে উনাকে ঘিরে দালাল আর চাটুকারদের যন্ত্রনায় আমিও বিব্রত।
কিন্তু তাই বলে আমি প্রকাশ্যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাকরণহীন ভাষায় সমালোচনা করবো? আপনি যত বড়ো ত্যাগী অথবা নির্যাতিত নেতা হোন।
আপনি যত বড়ো ত্যাগী নেতা হন মন্ত্রী কিংবা এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করবে দল, কোন ব্যক্তি নয়। কথা বলতে দলীয় ফোরামে যান। জুকারবার্গের ওয়ালে কেন? আর দীর্ঘ ৩০ বছরের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের স্টেটাসে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারে ভরপুর হবে সত্য কিন্তু কোন কার্যকর সমাধান হবেনা।
দুই যুগ ধরে বিয়ানীবাজারের দ্বিধা বিভক্ত ছাত্রলীগ কিংবা অগোছালো যুবলীগ অথবা এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। শুধু তেল মারা, চাটুকারিতা অথবা বিবেক বর্জিত ভাষা এবং বিপদ্গামিতার পথ পরিহার করে সংগঠনের স্বার্থে আসুন সম্মিলিত ভাবে কাজ করি।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি বিনীত অনুরোধ এখন নির্বাচন মৌসুম। তাই কর্মীদের ক্ষোভের কথা শুনুন এবং দলের দ্বিধাবিভক্তি রোধ এবং দলকে গতিশীল করতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
মনে রাখতে হবে দল আর কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই কেবল নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া সম্ভব। অন্যতায় আগামীদিনে অনেক মাশুল দিতে হবে।
লেখক: তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ। প্রিন্সিপাল সলিসিটার, কেসি সলিসিটর্স ইউকে।