প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এই দেশ ইনশাআল্লাহ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে এটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের সফিপুর আনসার একাডেমিতে আনসার বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেল চালু হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি।
তিনি বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, পরের কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা আনসার বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন, ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, পোশাক, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আনসার বাহিনীকে জাতীয় পতাকা দিয়েছি। নানা সুযোগ-সুবিধা ও চাকরি স্থায়ী করেছি। আনসার বাহিনীর পদোন্নয়ন ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বাহিনীকে তাদের আধুনিকীকরণ করে মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আনসার সদস্যরা মাসিক যে ভাতা পান, তা বাড়ানো হয়েছে। ২৭টি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন অফিস ও আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গরিব আনসার সদস্যদের জন্যও নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই আনসারদের জন্য সব কিছু করা হয়।’দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের পর গার্ড অব অনার দিয়েছিল আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশে যখন জ্বালাও-পোড়াও চলছিল, তখন আনসার বাহিনী তাদের নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করেঠে। আগুন সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করতে কাজ করেছে, সহযোগিতা করেছে।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই মন্দা যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোথাও যেন একটু জমিও অনাবাদি না থাকে। এজন্য আনসারদের ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রামের মানুষদের কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’