সীমান্তে দুই কোরিয়ার গুলি বিনিময়

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সীমান্তে গুলি বিনিময় হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০ দিন পর জনসমক্ষে আবির্ভূত হওয়ার দু’দিন পরেই এই ঘটনা ঘটেছে আজ রোববার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা অনলাইন নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গার্ড পোস্ট লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। অস্ত্রমুক্ত এলাকা বা ডিমিলিটারাইজড জোনে এ ঘটনার জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও গুলি ছুড়ে জবাব দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়ে বলেছে, এতে দক্ষিণ কোরিয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে রয়েছে ১৫৫ মাইল অভিন্ন সীমান্ত। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দু’দেশের মধ্যে বিরোধ আজীবনই তুঙ্গে। তাই ওই এলাকাকে বিশে^র সবচেয়ে বেশি মিলিটারাইজড বলে আখ্যায়িত করা হয়।

আজকের গুলি বিনিময়ের পর দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তারা একটি সামরিক হটলাইনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যাতে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি না পায়। তবে কি কারণে উত্তর কোরিয়া গুলি ছুড়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এই দুই দেশের সীমান্তে সামরিক অস্ত্রে সয়লাব। সীমান্ত এলাকায় মাটিতে পা রাখবেন মানে আপনি জানতেও পারবেন না মাইনের ওপর পা রেখেছেন কিনা। আছে গার্ড পোস্ট, সীমান্ত বেড়া। উভয় পক্ষে সার্বক্ষণিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত প্রায় ২০ লাখ সেনা সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে মাঝে মধ্যে।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধ স্থগিত হয় একটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে। তবে এ নিয়ে কোনো শান্তিচুক্তি হয়নি। ওই ঘটনার পর দুই কোরিয়াই কৌশলগত দিক দিয়ে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ যেসব গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ২০১০ সালের গুলি বিনিময় অন্যতম। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি দ্বীপে একটি আর্টিলারি ব্যারাজ হামলা করে উত্তর কোরিয়া। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার দু’জন নৌসেনা ও দু’জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। জবাবে একই রকম হামলা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া। এই বছরের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার এক টর্পেডো হামলায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাহাজ সমুদ্রে ডুবে যায়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার কমপক্ষে ৪৬ জন সেনা সদস্য মারা যান।

Advertisement