হতাশায় ভরা লন্ডন অলিম্পিক লিগাসির ৫ বছর

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক। শুধু পদকই নয়, প্রায় ৯ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ের এই অলিম্পিক পার্কের সঙ্গে ইস্ট লন্ডন এলাকার মানুষের অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। চাকুরী, বাসস্থানসহ নানান স্বপ্নঘেরা অলিম্পিক লিগাসির ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে জুলাই মাসে। তবে এই ৫ বছরে অলিম্পিক লিগাসিতে প্রাপ্তির চাইতে অপ্রাপ্তি এবং আনন্দের চাইতে হতাশাই বেশি ফুটে উঠেছে। হতাশা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং নিউহ্যাম মেয়র নিজেই।

২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক পার্ককে কুইন এলিজাবেথ পার্ক নামে নাম করণ হয়েছে অলিম্পিকের পরে।  কিন্তু এই পার্কের ভেতরে যারা ব্যবসা এবম বসবাস করছেন তারা আলাদা এক জগতে আছেন। পার্কের ভেতরে ৩ হাজার ফ্ল্যাটে প্রায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। আধুনিক বহুতল ভবন এবং বাইরে সবুজে ঘেরা সৌন্দর পার্কসহ সব কিছুতেই অভিভুত কুইন এলিজাবেথ পার্কের বাসিন্দারা। পার্কের ভেতরে ছোটখাট সুইটশপ এবং বেকারী দোকান মন্দ ব্যবসা করছে না। কিন্ত পার্কের বাইরের চিত্র অন্যরকম। বাইরে আশপাশের ছোটখাট ব্যবসার অবস্থা একেবারেই খারাপ। একজন পাবের মালিক জানালেন, অলিম্পিকের আগেও তাদের ব্যবসা মান্দা ছিল। কিন্ত এখনকার চাইতে ছিল। পার্কের বাইরে ব্যবসার মতো হাউসিংয়ের অবস্থাও খারাপ। একজন বাসিন্দা ব্রিটবাংলাকে বললেন, অলিম্পিক পার্কের পাশেই বসবাস কিন্তু হাউসগুলোর অবস্থা সেই আদিকালের মতোই রয়ে গেছে। হতাশা স্বয়ং নিউহ্যাম মেয়র স্যার রবিন ওয়েলসের মাঝেই। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের প্রধান হোস্ট বারা নিউহ্যাম। মেয়র বললেন, চাকুরীর ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা বাড়লেও হাউসিং এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রিয় সরকার একেবারেই অর্থ খরচ করেনি।
অন্যদিকে পার্কে ঠিকই অর্থ খরচ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় লোকসানও হচ্ছে।

 

গত বছর অতিরিক্ত ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হয়েছে শুধু স্টেডিয়ামেই। এই স্টেডিয়ামকে তার আগে ৩শ ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ফুটবল স্টেডিয়ামে রূপান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে অলিম্পিক পার্কে দাঁড়িয়ে থাকা অরবিট মাত্র ২শ হাজার পাউন্ড লাভ করেছে গত বছর। তবে এতে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে স্লাইড লাগানো হয়েছে গত বছর। অন্যদিকে অরবিট নির্মানের ব্যয় বাবদ ১২ মিলিয়ন পাউন্ড লোন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড সাবসিডি দেওয়া হয়েছে একোয়াটিক সেন্টারে। তাতে দীর্ঘদিন সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কপার বক্স গত বছর লোকসান গুনেছে প্রায় ৮শ হাজার পাউন্ড।
লোকসান এবং হতাশায় ভরা অলিম্পিক লিগাসি আগামীতে  কতোটা স্বার্থক এবং সাফল্যের প্রতীক হিসেবে পরিনত হবে সেটা দেখার জন্যে হয়তো আরো অপেক্ষা করতে হবে।

Advertisement