মো: রেজাউল করিম মৃধা ॥ বিমানের যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে করোনা পরীক্ষা সহজ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে হিথ্রো বিমান বন্দরে।
হিথ্রো বিমানবন্দেরের ২ এব ৫ নম্বর টার্মিনালে এই সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার হংকংয়ের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করা যাত্রীদের দিয়েই প্রথমবারের মতো কোনো বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয় যুক্তরাজ্যে। যে কেউ পরীক্ষা করাতে পারবেন। তবে এর জন্য ফ্লাইটের এক ঘণ্টা আগে উপস্থিতি থাকা ছাড়াও ফি হিসেবে দিতে হবে ৮০ পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে।
মহামারির বিস্তার ঠেকাতে এখন অনেক দেশের বিমানবন্দরেই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে কোনো যাত্রী যেনো গন্তব্যে পৌঁছে বিপদে না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মুখের লালা দিয়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত কিনা তা জানতে পারবেন যাত্রীরা। এভাবে পরীক্ষা করার পদ্ধতিটি ল্যাম্প টেস্ট নামে পরিচিত। হিথ্রো বিমানবন্দরের ২ এবং ৫ নম্বর টার্মিনালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের এই সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক এবং ক্যাথে প্যাসিফিক।
হিথ্রো বিমানবন্দরে সুবিধাটি চালু করেছে কলিনসন। কোম্পানিটির আশা, ইতালি প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের এই পদক্ষেপ কাজে দেবে। তবে এ নিয়ে ইতালি সরকারের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলমান। এদিকে লন্ডন থেকে যারা হংকং যাচ্ছেন তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশেই এখন মহামারি করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় ব্রিটেনকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করছে। প্রতিনিয়ত এসব দেশের সংখ্যা বাড়ছেই। যুক্তরাজ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করার অর্থ হচ্ছে, ব্রিটিশদের এসব দেশে যেতে হলে বাড়তি বিধিনিষেধ ও কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ব্রিটিশ বিমান সংস্থাগুলোর জোট এয়ারলাইন্স ইউকের প্রধান নির্বাহী করোনা পরীক্ষাকে স্বাগত জানালেও ফি ৮০ পাউন্ড বেশী বলে মনে করছেন। তবে যাত্রীদের ফি নিয়ে অভিযোগ নেই এক ঘন্টার মধ্যে যে করোনার সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে নিরাপদে নিশ্চিন্তে গন্তব্যে যেতে পারছেন এতেই তারা মহা খুশী।
