জামানুর হত্যা মামলায় ৪ জন দোষি : Teenager guilty of murder, Mile End

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : ইস্ট লন্ডনের মাইলএন্ডে বাঙালী তরুন সৈয়দ জামানুর ইসলাম হত্যার দায়ে ১৬ বছরের এক কিশোরকে দোষি সাব্যস্ত করেছে আদালত। শুক্রবার ইনার লন্ডন ক্রাউন কোর্টে শুনানি শেষে ওই কিশোরকে হত্যা, শারীরিকভাবে আঘাত করা এবং বিপজ্জনক অস্ত্র রাখার দায়ে দোষি সাব্যস্ত করে কোর্ট।

এর আগে একই মামলায় আরো তিনজনকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়।

নাঈম চৌধুরী

তার বয়স ১৮ বছর। সে টাওয়ার হ্যামলেটসের বার্ডেট রোডের বাসিন্দা। শারীরিকভাবে আঘাতের ষড়যন্ত্রের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ইসমাইল মোহাম্মদ উদ্দিন

বয়স ১৮ বছর এবং সে ই থ্রি এলাকার বাসিন্দা। তাকে শারীরিক ভাবে আঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং বিপজ্জনক অস্ত্র রাখার অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছে।

১৯ বছর বয়সী সামিউর রহমান

সাইপ্রাস স্ট্রিটের বাসিন্দা। শারীরিক আঘাত এবং বিচার কাজকে ভিন্নখাতে নেওয়ার যড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আগামী ২২ শে ডিসেম্বর একই আদালতে তাদের সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মাইলএন্ডের ওয়েজার স্ট্রীটে তার ঘরের সামনেই ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল ২০ বছর বয়সী সৈয়দ জামানুর ইসলামকে। এম্বুলেন্স এসে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রায় সাড়ে পাঁচটার দিকে সে মৃত্যুবরন করে। এম্বুলেন্স আসার পূর্ব পর্যন্ত ছুরিকাহত রক্তাক্ত জামানুর তার মায়ের কুলেই শুয়েছিল।

১৩ এপ্রিল সৈয়দ জামানুরের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাম পায়ে ছুরিকাঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, নিহত জামানুরের ছোট্র ভাইকে ব্যঙ্গ করে তাদের ঘরের সামনে ডিম নিক্ষেপের  ঘটনার সুত্রপাত ধরেই জামানুরকে ছুরিকাহত করা হয়। ডিম নিক্ষেপের ঘটনার সঙ্গে নাইম চৌধুরী এবং সামিউর রহমান জড়িত বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।

১১ এপ্রিলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এই তিনজন একটি ফর্ড ফিয়েস্তা গাড়িতে ছড়ে ওয়েজার স্ট্রীটে এসে জামানুরের ছোট ভাইকে খোঁজে। তাদের সঙ্গে ছুরি এবং বেসবল ব্যাট ছিল। আর গাড়িটি হায়ার করা ছিল সামিউরের নামে।

জামানুরের ছোট ভাইকে না পেয়ে তারা চলে যাচ্ছিল। এসময় জামানুর তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাদের গাড়ির কাছে চলে আসে। গাড়ির পাশে দাড়িঁয়ে নাইমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল জানানুরের। এক পর্যায়ে বেসবল ব্যাট দিয়ে জামানুরকে আঘাত করে ইসমাইল। তাদের মারামারির মাঝেই ১৬ বছরের ওই কিশোর জামানুরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রেখে বো কমন লেনের দিকে চলে যাই সন্দেহভাজনরা।

পুলিশ সিসিটিভি দেখে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি জ্যাকেটও উদ্ধার করে। জ্যাকেটের পকেটে নাঈম চৌধুরীর ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির চাবি পাওয়া যায় বলেও আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টা পরে সামিউর টেলিফোনে ফোর্ড ফিয়েস্তা গাড়িটি হারিয়েছে বলে পুলিশে রিপোর্ট করে। এরপর দিন তারা তিনজন নর্থ ইংল্যান্ড এবং মিডল্যান্ডে আলাভাবে অবস্থান নেয়। ১৩ এপ্রিল বার্মিংহ্যাম থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড বিএমডব্লিউ কিনেন নাঈম। ১৬ এপ্রিল এমওয়ান মটরওয়েতে ওভারস্পীডের ফলে পুলিশ তাদের আটক করে। জামানুরের উপর হামলার পর চেহারা পাল্টানোর জন্যে তারা তিনজনই মাথা কামিয়ে ফেলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

জামানুর হত্যার ব্যাপারে  পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোন মন্তব্য করতে চায়নি। আগামি ২২ শে ডিসেম্বর দোষি ৪ জনের সাজার মেয়াদ ঘোষনা করা হবে ইনার লন্ডন ক্রাউন কোর্টে।

 

 

Teenager guilty of murder, Mile End

A teenage boy has been found guilty of the murder of 20-year-old Syed Jamanoor Islam in Mile End.

The 16-year-old male was found guilty of murder, conspiracy to commit ABH and possession of an offensive weapon on Friday, 24 November following a trial at Inner London Crown Court.

Three other men were also convicted at the same trial.

– Nayeem Chowdhury, 18 (03.02.99) of Burdett Road, E14 was found guilty of conspiracy to commit ABH;
– Ismail Muhammad Uddin, 18 (20.09.99) of Cahir Street, E3 was found guilty of conspiracy to commit ABH and possession of an offensive weapon,
– Samiur Rahman, 19 (25.10.98) of Cypress Street, E2 was found guilty of conspiracy to commit ABH and perverting the course of justice.

All four were remanded in custody to appear for sentencing at the same court on 22 December.

Jamanoor, 20, was stabbed in Wager Street, E3, at around 16:45hrs on Tuesday, 11 April. He was rushed to an east London hospital where he was pronounced dead just after 17:30hrs.

A post-mortem examination which took places on 13 April gave the cause of death as a stab wound to his left leg which pierced the femoral artery and vein.

The court heard that the stabbing was an escalation of a dispute which started off with eggs being thrown by the victim’s brother in jest. This led to eggs being thrown at Jamanoor’s front door. It is believed that Chowdhury and Rahman were responsible.

This was taken as a sign of disrespect, and in turn led to the tyres on Chowdhury’s car being slashed, and an altercation were Rahman was assaulted.

On 11 April, the three suspects were caught on CCTV travelling around Wager Street in a Ford Fiesta vehicle rented by Rahman, looking for Jamanoor’s brother. They were armed with a hunting knife and a baseball bat.

Their intended target was not at home, but Jamanoor confronted Chowdhury. The pair fought, and Jamanoor was hit with a baseball bat by Uddin.

It was during this fight that the 16-year-old boy pulled out a knife and inflicted the fatal stab wound. The suspects subsequently made off towards Bow Common Lane, with Jamanoor mortally injured.

The Met’s Homicide and Major Crime Command launched an investigation, and analysis of CCTV showed the defendants’ journey after the attack.

A jacket recovered at the crime scene contained Chowdury’s driving licence and car keys.

An hour after the attack, Rahman called police reporting the Ford Fiesta as stolen.

In the days after the murder, the defendants stayed in different places in the north of England and the Midlands, evading efforts to locate and detain them.

On 13 April, Chowdury bought a second-hand BMW in Birmingham, giving false details.

Police traced the vehicle and engaged in a high-speed pursuit on the M1 motorway in Yorkshire on 16 April which lasted half an hour and culminated in a stop and their arrest. The suspects had changed their appearance in the days after the murder, shaving their heads.

They were identified as being present during the altercation that led to Jamanoor’s death. They gave no comment when interviewed by officers and were subsequently charged.

Detective Chief Insepctor Tony Lynes, who led the investigation, said: “Jamanoor was brutally attacked by these defendants who went out that day looking to cause trouble and inflict serious harm on the victim’s brother, following a petty dispute which quickly turned sour.

“It was a single stab wound to the victim’s leg which caused significant injury and ultimately proved fatal, and I hope serves as a cautionary tale to any young people thinking about carrying and using a knife and not thinking about the possible consequences.”

Advertisement