হাসপাতালে অসুস্থ্য মায়ের পাশে সৈয়দ দুলাল
ব্রিটবাংলা ডেস্ক : মৃত্যুপথযাত্রী স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা জীবনে শেষবারের মতো একবার স্বামীর মুখ দেখে যেতে চান। কিন্তু হোম অফিসের অনিচ্ছায় সেই আশা পুরণ হচ্ছে না ৬৬ বছর বয়সী জামিরুন নেসার। কিডনী রোগ, হার্টে ফেইলরসহ নানান জঠিল রোগে আক্রান্ত জামিরুন নেসা মিডলসবারার জেইমস কুক ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৭ বছর ধরে তিনি সন্তানদের সঙ্গে হার্টলিপুলে বসবাস করছেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শেষ বারের মতো স্বামীর মুখ দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। স্বামী ৭৫ বছর বয়সী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশে বসবাস করেন। তিনি এর আগে বিভিন্ন সময় ইউকে সফর করে স্ত্রী সন্তানদের দেখে গেছেন। এবার অসুস্থ্য স্ত্রীকে দেখার জন্যে ডাক্তার একটি চিঠিও ইস্যু করার পরেও হোম অফিস তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাবা সৈয়দ হাবিবুর রহমান, মা জামিরুন নেসা এবং ছেলে সৈয়দ দুলাল
হোম অফিসের ধারণা, তিনি আসলে আর ফেরত যাবেন না। এছাড়াও তার একাউন্টে যে পরিমান অর্থ দেখানো হয়েছে, ইউকে সফরের সময় তা তার ব্যয় মেটাতে যথেষ্ট নয় বলে হোম অফিস তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
জামিরুন নেসা এবং সৈয়দ হাবিবুর রহমানের ৫ সন্তান এবং ২৫ জন নাতি-নাতনি আছেন। তাদের ছেলে ৪৮ বছর বয়সী সৈয়দ দুলাল জানিয়েছেন, তার বাবা শুধুমাত্র ফ্যামিলি ভিজিটে আসতে চান। এখানে এসে দীর্ঘ স্থায়ী বা লম্বা সময় থাকার কোনো ইচ্ছে তার বাবার নেই। তিনি এর আগেও অনেকবার ইউকে সফর করেছেন। কিন্তু কোনোবারই তিনি অভারস্টে করেননি। সময়মত বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। তিনি জানান, তার অসুস্থ্য মা প্রতিদিন কান্নাকাটি করেন, তার ধারণা এই বুঝি তার স্বামী আসছেন।
হোম অফিস থেকে বাবার ভিসা প্রত্যাখ্যানের চিঠি হাতে নিয়ে সৈয়দ দুলাল
রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সৈয়দু দুলাল জানিয়েছেন, হোম অফিস তার বাবার ইউকে ভিজিট ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোনো আপিলের সুযোগ রাখেনি। প্রয়োজনে তাদেরকে আবার নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে। নতুন করে আবেদনে আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর সেই সময় অপেক্ষা করার মতো অবস্থা তার মায়ের নেই বলেও জানান তিনি। যে কোন সময় তার মায়ের কিছু একটা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সৈয়দ দুলাল। মেট্টোতে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে।