মিয়ানমারে রাতভর সামরিক জান্তাবিরোধী প্রতিবাদ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে আন্দোলনে আড়াইশর মতো নিহত হয়েছে।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনায় শনিবার মিয়ানমারের ছোট-বড় অসংখ্য শহরে রাতভর বিক্ষোভ করেছেন অসংখ্য মানুষ। খবর রয়টার্সের।

সামরিক জান্তা এখন রাতেরবেলায় হওয়া এসব কর্মসূচির টুটি চেপে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইয়াঙ্গুন, কাচিন, কাওথংসহ বেশ কয়েকটি শহর থেকে রাতেরবেলায়ই প্রায় ২০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন পোস্টের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানিয়েছে।

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের আগ পর্যন্ত দেশটির অনেক অঞ্চলে সামরিক শাসনবিরোধীরা আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মান্দালয়ে সূর্যোদয়ের আগে ‘ভোরের বিক্ষোভে’ সাদা কোট পরা মেডিকেল স্টাফসহ কয়েকশ মানুষ অংশও নিয়েছেন।

পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং হতাহতের ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মিয়ানমারের অনেক প্রতিবেশীকেও একই সুরে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের আন্দোলনকারীরা অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন উপেক্ষা করে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন। তাদের লক্ষ্য— দেশকে ফের গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি এর আগেও প্রায় ৫ দশক সেনাশাসনে ছিল। ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের আগে মোটামুটি এক দশক দেশটিতে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল।

শনিবারও দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।

এ নিয়ে দেশটিতে এবারের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা ২৪৭-এ দাঁড়াল বলেও জানিয়েছেন তারা।

Advertisement