লন্ডন বারা অব কালচার’ বিডকে সমর্থন জানিয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র

আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে তুলে ধরে আমরা এখন কোথায় আছি এবং বারা হিসেবে আমরা কোথায় যেতে চাই, তা জানান দেয়ার এটা একটা অনন্য সুযোগ- জন বিগস

ব্রিটবাংলা রিপোৰ্টঃলন্ডন বারা অব কালচার’ বিডিংয়ে সাফল্যের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহীমেয়র জন বিগস।

৩ নভেম্বর, শুক্রবার হোয়াইট চ্যাপেলের খৃস্টিয়ান ষ্ট্রীটে সদ্য চালু হওয়া কমিউনিটি হাবে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এই আহ্বান জানান।

‘লন্ডন বারা অব কালচার’ বিডকে সমর্থন জানিয়ে এসময় মেয়রের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি শামিম আজাদ এবং পারপল মুন ড্রামার ডাইরেক্টর শ্যারল ডিওন।

সংবাদ সম্মেলনে লিড মেম্বার ফর কালচার কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই সবাইকে স্বাগত জানিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া টাওয়ার হ্যামলেটসের ওয়াপিং এর বাসিন্দা বিশিষ্ট অভিনেত্রী ডেম হেলেম মিরেনও টাওয়ার হ্যামলেটসের বিডকে সমর্থন জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, ‘লন্ডন বারা অব কালচার’ হওয়ার জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বিশেষ বিডে অংশ নিয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য এই বিডিং প্রক্রিয়ায় যে বারা জিতবে, তাদেরকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খরচ করার জন্য মেয়র অব লন্ডন ১ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করবেন।

টাওয়ার হ্যামলেটস যদি ‘লন্ডন বারা অব কালচার‘ হিসেবে জয়ী হয় তাহলে বছরব্যাপি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আয়োজন, নতুন চাকুরি ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এই বিডিং প্রক্রিয়ার শেষ তারিখ হচ্চেছ ১ ডিসেম্বর। এরপর লন্ডন মেয়রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আবেদনগুলো উপস্থাপন করা হবে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বিজয়ী বিডের নাম ঘোষনা করা হবে।
মেয়র বলেন, এই বিড বা নিলামে সফল হতে জনসাধারণের সমর্থন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে বারার পক্ষে পাবলিক সমর্থন বেশী পড়বে তাদের জয়ী হবার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। তাই, জনগণ যাতে টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্যাম্পেইনে সমর্থন করতে পারেন, সেজন্য গত ২৬ অক্টোবর কাউন্সিল নতুন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। https://thbackthebid.co.uk এই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাসহ যে কেউ টাওয়ার হ্যামলেটসের আবেদনের পক্ষে তাদের সমর্থন জানাতে পারবেন।


এছাড়া ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড কিভাবে খরচ হওয়া দরকার, সেসম্পর্কেও তারা তাদের অভিমত তুলে ধরতে পারবেন। বারার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ছবি ও অভিমতও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যাবে।
মেয়র জন বিগস আরো বলেন, যখন সংস্কৃতির বিষয়টি আসে, তখন টাওয়ার হ্যামলেটস লন্ডনের মধ্যে সেরাটা দিয়ে থাকে। বলার মতো অসাধারণ সব গল্প রয়েছে আমাদের এবং আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে তুলে ধরে আমরা এখন কোথায় আছি এবং বারা হিসেবে আমরা কোথায় যেতে চাই, তা জানান দেয়ার এটা একটা অনন্য সুযোগ।
মেয়র বলেন, টাওয়ার অব লন্ডন থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া পার্ক, উইভার্স ফিহ্বে বৈশাখী মেলার আয়োজন, লন্ডনের বৃহত্তম উৎসব অল পয়েন্টস ইস্ট এর আয়োজন এর মানে হচ্ছে পুরো ইউকের যে কোন জনপদের তুলনায় আমাদের রয়েছে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক উ্সব।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি সমর্থন আমাদের বিড এর পক্ষে গণনা করা হবে। তাই https://thbackthebid.co.uk এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং প্লেজ বা অঙ্গিকারে স্বাক্ষর করুন।
মেয়র আরো বলেন, সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষের উদ্ভাবনী সৃজনশীলতায় বিনির্মিত হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস বারা। ভ্রমণ, সৃজনশীলতা এবং বাণিজ্যের গল্পগাঁথায় এই জনপদের স্বাতন্ত্র্যতা যেমন নির্দিষ্ট হয়েছে, তেমনি সংস্কৃতি, ব্যবসা বাণিজ্য ও প্রতিভার সমৃদ্ধ সংমিশ্রণ ঘটেছে।

ডাইভারসিটি বা বৈচিত্রতা হচ্ছে আমাদের শক্তি। পুরো দেশের মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমিউনিটিগুলোর মধ্যে সংযোগ সম্পৃক্তার হার হচ্ছে সর্বোচ্চ। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির উদযাপনই হচ্চেছ আমাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আর এজন্য আমাদের বিডকে সমর্থন করুন এবং সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিন কেন লন্ডন বারা অব কালচার হওয়ার একমাত্র দাবিদার হচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস।
কবি শামিম আজাদ এবং শ্যারল ডিওন তাদের বক্তব্যে টাওয়ার হ্যামলেটসের বিডকে সমর্থন দেয়ার জন্য বারার সকলের প্রতি বিশেষ অনুরুধ জানান।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে কমিউনিটির বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য সদ্য উদ্বোধন হওয়া কমিউনিটি হাবটি উপস্থিত সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়।

Advertisement