দ্য হেগে বাংলাদেশীদের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ওয়ার্কশপ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: হেগস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় বাংলাদেশীদের সংগঠন ব্রেইন চেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ওয়ার্কশপ করেছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করা, ডাচ জব মার্কেটের সমস্যাসমূহ ও সুবিধাদি, চাকরির ইন্টারভিউ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে দূতাবাস এই প্রথমবারের মতো এ ধরণের ওয়ার্কশপের আয়োজন করলো।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য যায়। ডাচ ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী পড়াশুনা শেষে এক বছর সময় দেওয়া হয় চাকরি খোঁজার জন্য। এই সময়ের মধ্যে চাকরি পেলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এভাবে সাফল্যজনকভাবে কাজ করে গেলে একটা সময় তারা ডাচ নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারে।
এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের সকল সদস্যবৃন্দ, ব্রেইন চেনেএর সদস্যবৃন্দ এবং ১৩ জন বাংলাদেশী। তারা প্রত্যেকে চাকরির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে।
ব্রেইন চেনের সদস্যরা বিভিন্ন ডাচ কোম্পানিতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। চাকরি প্রত্যাশীদের জব মার্কেটের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। ব্রেইন চেনের সদস্যারা তাদের উপস্থাপনার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ, চাকরি খোঁজার নানাবিধ উপায়, আবেদন পত্র এবং তার অগ্রগামী পত্র লেখা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। কর্মশালার অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি প্রতীকি ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল ‘ব্রেইন চেন’কে এধরনের উদ্ভাবনীমূলক আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ করেন যে, এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে ‘কিছু দেওয়ার’ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা করেন ব্রেইন চেন দূতাবাসের ‘ইনোভেশন’ কক্ষ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এধরনের আরও উদ্ভাবনীমূলক অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত বেলাল আরও উল্লেখ করেন যে, আমাদের প্রত্যাশা ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করবে এবং নেদারল্যান্ডে তাদের আহরিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতির পথে ধাবমান সে প্রসঙ্গে নেদারল্যান্ডের “উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল” চিন্তা-ভাবনা ও “কম কিছু দিয়ে বেশী কিছু করার” সংস্কৃতির উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণকারীদের নেদারল্যান্ড থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কিভাবে তা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহের উন্নয়নে কাজে লাগানো সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
পরিশেষে, অংশগ্রহণকারীগণ এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাস ও ব্রেইন চেনের প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। যেখানে তারা নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য কেবল পরামর্শ-উপদেশ-ই পায়নি, তারা তাদের সমস্যাসমূহ আলোচনার জন্যও একটি জায়গা পেয়েছে। পারস্পরিক যোগাযোগের একটি ক্ষেত্র পেয়েছে। সর্বোপরি তারা এই সন্তুষ্টি পাচ্ছে যে, কেউ তাদের মঙ্গলের জন্য চিন্তাভাবনা করছে।
Advertisement