:: ওয়াহিদ মুহাম্মদ মাহবুব ::
রামানাদুল কারিম হল আল্লাহর একটি মোবারাক মাস, যা আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামত সমুহের মধ্যে অন্যতম। এই মাসের মধ্যে রয়েছে রহমত–বরকত, মাগফিরাত ও নাজাত। আবার এই মাসেই আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন কোরআন, যা হেদায়েত, ফুরকান, নূর, রহমত ও শিফা। আবার এই মাসেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম একটি রজনী, লাইলাতুল কদর। নবী করীম (সঃ) রামাদান মাসকে `শাহরুন আযিম` এবং `শাহরুম মুবারক` বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সাধারন ভাষায় রোজা হোল সারাদিন পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে শুধু সারাদিন না খেয়ে থাকার নাম রোজা নয়, বরং রোজা হোল আমাদের ইন্দ্রিয়ের হেফাজত করা, হারাম থেকে বেঁচে থাকা। যেমন – অনাঙ্কাঙ্খিত কথা থেকে মুখকে হেফাজত করা, অতিরিক্ত কথোপকথন থেকে সজাগ থাকা, হাতকে অন্যায় থেকে বিরত রাখা, ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকা, ত্রানের চাল চুরি থেকে বিরত থাকা, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা, চোখকে হেফাজত করা, হাতকে হারাম আয় করা থেকে বিরত রাখা। বিগত দিনের ভুল–ভ্রান্তির জন্য অনুতপ্ত হয়ে, তা আর ভবিষ্যতে না করার নিয়তের পরিশুদ্ধতার মাধ্যমে কলবের পরিশুদ্ধতা ও হেদায়েত লাভ করাই হোল রোজা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদাগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে। (সুরা বাকারা–১৮৩)
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ
রামাদান মাস, এ মাসেই কোরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য–সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয়। কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোজা রাখা অপরিহার্য। (সুরা বাকারা –১৮৫)
নবী করীম (সঃ) বলেছেন, “(হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন), রোজা আমারই জন্য এবং আমিই রোজাদারকে পুরস্কৃত করব। নিশ্চয়ই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর গন্ধ অপেক্ষা উত্তম।” (বুখারী) আল্লাহ এবং তার বিধান সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ব্যাক্তি জীবনের পজিটিভ পরিবর্তন ও তাকওয়া অর্জনই হল পুরো রামাদান মাসের মুল লক্ষ্য ও শিক্ষা।
তাকওয়া কিভাবে অর্জন করা যায় বা রামাদান প্রস্তুতিঃ
১। রামাদান আসার আগ পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সুযোগ, সুস্বাস্থ্য ও সামর্থ্য দান করেন যেন আমরা রামাদানের রোজা রাখতে পারি। রাসুল(সঃ) আমাদেরকে শিখিয়েছেন–
اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِى رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَان
হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসের বরকত দিন এবং রামাদান পর্যন্ত হায়াত দিন।(মুসনাদ)।
রজব ও শাবান মাসে অতিরিক্ত রোজা রাখা যাতে, রামাদান মাসে রোজা রাখতে সহজ হয়। রামাদান মাসের পরে, রজব মাসেই রাসুল (সঃ) সবচেয়ে বেশী রোজা রেখেছেন। উসামাহ ইবনে যায়েদ (রা) বলেছেন: `আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনাকে শাবানে রোজা রাখার মত অন্য কোন মাসে রোজা রাখতে দেখি না`।এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, রাসুল(সঃ) রামাদান মাসের পরে এই সময় সবচেয়ে বেশী নফল রোজা রাখতেন।
কমপক্ষে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখার চেষ্টা করা। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন নবী (সঃ) সর্বাধিক সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং তিনি বলেছিলেন: “লোকদের আমল প্রতি সোম ওবৃহস্পতিবার আল্লাহর সামনে পেশ করা হয়। আল্লাহর কাছে এমনসময় আমার আমল তুলে ধরা হউক যখন আমি রোজা অবস্থায় থাকি“।
২। রামাদান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পড়ালেখা ও জ্ঞান অর্জন করা। আমাদের জানাশুনা যত ভাল হবে, আমল করাও তত সুন্দর ও সহজ হবে। নিয়ত ও ইচ্ছাকে পরিশুদ্ধ করত হবে সবার আগে।
৩। একটি রামাদান পরিকল্পনা গ্রহন করা। যেমন পুরো কোরআন পড়া, প্রতি রাতে তারাবীহ নামায পড়া, তাহাজ্জুদ পরা ও অনন্য ধর্মীয় বই–পুস্তক পরা। বিশেষ করে, আমি এই মাসে কী অর্জন করতে চাই, তার একটি বাস্তবসম্মত তালিকা তৈরি করা এবং তা অর্জনের পরিকল্পনা করা। রামাদান শুরু হওয়ার আগে ও রামাদানে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে, দিনের পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করা এবং রিভিউ করা।পাশাপাশি যে সমস্ত বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি লাভ করতে চাই এই রামাদানে, সেগুলোর একটি লিস্ট করা এবং তা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া, চেষ্টা করা এবং দুটো য়া করা।
৪। রামাদানের আগে আমাদেরকৃত সমস্ত অন্যায়ের জন্যস র্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়লার কাছে তওবা–ইস্তেগফার করা এবং ক্ষমা ও সাহায্য চাওয়া যাতে রামাদানের সর্বোচ্চ কল্যান হাসিল করা যায়। রামাদান মাসে তওবা–ইস্তেগফার আরও বেশী বেশী করা, যাতে রামাদানের পূর্ণতা হাসিল করতে পারি।
৫। পরিবারের সকল সদস্য, সহকর্মী, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের বিরুদ্ধে কোন অন্যায় ও ভুল করে থাকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৬। শুধু মুখেই নয়, বরং হাতের দ্বারা, লিখার মাধ্যমে, ইশারার মাধ্যমেও গীবত হয়; গীবত, পরনিন্দা, পরচর্চা, অপবাদ, হিংসা, ভণ্ডামী, কপটতা, অহংকার এবং লোক দেখানো ইবাদতের মত সমস্ত হৃদরোগ থেকে আমাদের হৃদয় এবং আত্মাকে পরিষ্কার করা।
৭। আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য এবং আমাদের নিজ নিজ দায়িত্বগুলি বোঝার জন্য এখন থেকেই কোরআন বেশি বেশি তিলাওয়াত, অর্থসহ তিলাওয়াত করা, উপলব্দি করা, এবং বাস্তবজীবনে কোরআনের প্রতিফলন করা।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোরআনকে সুন্দর, মসৃণ ও সুস্পষ্টভাবে তেলাওয়াত করবে, সে সম্মানিত ও আনুগত্যকারী ফেরেশতাদের সংগে থাকবে। তবে যে ব্যক্তি তার আয়াতগুলি তিলাওয়াত করতে অসুবিধা সহ্য করে, হোঁচট খেয়ে তিলাওয়াত করবে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে। ” (মুসলিম)
৮। রামাদান হোল কোরআনের মাস। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা। কোরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এখনই রামাদানের জন্য একটি চেক লিস্ট তৈরি করা। কিছু প্রয়োজনীয় দে য়া, সুরা, ও আয়াতলিস্ট করে নেওয়া এবং সেগুলো মুখস্ত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। কমপক্ষে কয়েকটি সুরার তাফসীর পড়া এবং একটি টার্গেট ঠিক করা যেন আগামি তিন–চার রামাদানে গোটা কোরআনের তাফসির শেষ করা যায়। বিশেষ করে কোরআনকে সহিহ ভাবে তিলাওয়াত করার চেষ্টা করা, কোরআন শিখার কোন ছোট কোর্স করা।সাথে সাথে মানুষকে কোরআনের দিকে আহবান করা।
৯। আমদের প্রিয় নবী করীম (সঃ) সম্পর্কে জানা এবং তার একটি সম্পূর্ণ জীবনী পড়া এবং তাকে অনুসরণ করা। কেননা রাসুল (সা:) এর মধ্যেই রয়েছে আমাদের জীবনাদর্শ। অন্যদিকে, আল্লাহকে পেতে হলে রাসুল (সঃ) কেই অনুসরন করতে হবে।
“বলুন, ( হে মুহাম্মাদ), যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো তবে আমাকে অনুসরণ কর, [সুতরাং] আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবংতোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ” (সুরা ইমরান–৩১)
১০। রামাদান মাস হল দান, সাদকা ও যাকাতের মাস। বেশী বেশী দান, সাদকা ও যাকাত প্রদান করা। গরিব, মিসকিন, দরিদ্র ও এই সময়ে করোনা আক্রান্ত অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করা। বিনিময়ে আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে পুরস্কৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।মানুষের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাতকে প্রশস্থ করা।
مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ وَلَهُ أَجْرٌ كَرِيمٌ
এমন কেউ কি আছে যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? উত্তম ঋণ; যাতে আল্লাহ তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন৷ আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান (সুরা হাদিদ–১১)। আর আল্লাহকে ঋণ দেওয়া হল তারই নির্দেশিত রাস্তায় খরচ করা।
১১। নিজ নিজ চরিত্রের উন্নতি সাধন করা। আমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ চরিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করতে পারি, চরিত্রের বিভিন্ন মন্দ দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করা, লিস্ট তৈরি করে উন্নতির জন্য বিভিন্ন বাস্তব ধর্মী পদক্ষেপ গ্রহন করা। শিষ্টাচার সম্পর্কে সচেতন হওয়া।নবী করীম (সঃ) বলেছহেন “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম যিনি আচার–আচরণ ও চরিত্রে সর্বোত্তম।” (বুখারী)
১২। লাইলাতুল কদর তালাশ করা এবং এর সর্বোচ্চ ফায়দা হাসিল করা।ইতিকাফ পালনের চেষ্টা করা। কিয়ামুল লাইল, যিকির, মুখের–অন্তরের অথবা অঙ্গ–প্রতে্ঙ্গের মাধ্যমে আল্লাহর স্মরনই যিকির। তবে কোরআন তিলাওয়াত এবং নামায হল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ যিকির। রামাদানে এই যিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করা।
اللْهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
১৩। স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত আহার করা এবং অপচয় না করা। আমদের একটি চিরাচরিত অভ্যাস হল রোজার মধ্যে অত্যাধিক খাওয়া–দাওয়া, অপচয় করা, যা রামাদানের মূল স্পিরিট এর উল্টো। বরং খাওয়া–দাও্য়াতে অতিরিক্ত সময় না দিয়ে, আমল, আখলাক, ইবাদত, দোআ ও তিলাওয়াতে বেশী মনোযোগ দেওয়া ও নিজেকে আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করা। কেননা এই মাস হল রোজার মাস, এইমাস হল সাদাকার মাস, এই মাস হল কুরআনের মাস, এই মাস হল ক্ষমা ও নাজাতের মাস। কোরআনের রঙ্গে নিজকে রঙ্গিন করাই হল রামাদান মাসের সফলতা।
১৪। রামাদান মাসে তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়া, কমপক্ষে দুই রাকাত হলেও প্রতি রাত্রে তাহাজ্জুদ পরা। তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তোলা। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে স্বয়ং আল্লাহ নিজে প্রথম আসমানে নেমে আসেন আর বান্দাদের আহ্বান করতে থাকেন এভাবে– ‘কেউ কি আছে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব; কেউ কি আছে আমার কাছে কিছু চাইবে? আমি তার চাওয়া পূরণ করব; কেউ কি আছে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’(বুখারি)। অন্যদিকে, দোয়া কবুলের সর্বোত্তম সময় হল এই তাহাজ্জুদের সময়। এই সময়টাকে আমারা কাজে লাগাই, আল্লাহর সেই ডাকে সাড়া দেই।
১৫। রান্না ঘরের সময় যতটা কমানো যায়, বরং দে য়া ও ইস্তেগফারে বেশী সময় বাড়ানো। বিশেষ করে আসর ও মাগরিবের সময় রান্নাঘরকে যতটা সম্ভব পরিত্যাগ করা যায়, কেননা এই সময়ে আল্লাহ তাআলা দুটো য়া কবুল করে থাকেন। পাশাপাশি মারকেট ও কেনাকাটা যতটা কমানো যায় সেই চেষ্টা করা। বিশেষ করে, এই বৎসর নিজের কেনা–কাটা কমিয়ে, ওই টাকা যতটা সম্ভব করোনা আক্রান্তদের মাঝে দিয়ে দেওয়া।
১৬। পারিবারিক কাজে মহিলাদেরকে সাহায্য করা, তাদেরকে রান্না ঘর থেকে মুক্তি দেওয়া। সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করা এবং সবাই মিলে একসাথে বসে পারিবারিক ইফতার নিশ্চিত করা।
১৭। সময় আল্লাহ তায়লার অনেক বড় নিয়ামত। অতিরিক্ত ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, সোশাল মিডিয়া ব্যাবহার করে এই নেয়ামত নষ্ট করা থেকে দূরে থাকা। বরং, কোরআনের তাফসির পড়া, গবেষণা করা, কোরআনের অর্থ উপলব্দি করার চেষ্টা করা এবং কোরআন দিয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ভুমিকা রাখা।
১৮। আল্লাহ তায়লার আনুগত্যহীনতা থেকে আত্মরক্ষা এবং আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার চেষ্টা করা। আল্লাহ যে সমস্ত বিধি–নিষেধ দিয়েছেন তা মেনে চলার চেষ্টা করা। এই রামাদান থেকে নিজের জীবনকে নতুন করে গড়ে তোলা।
একদা রাসুল (সঃ) মিম্বরে খুতবা দিচ্ছিলেন তখন জিব্রাইল (আঃ) আসলেন এবং দে য়া করলেন, আর নবী করীম (সঃ) জিব্রাইল (আঃ) এর সাথে তিন তিনবার আমিন বলেছিলেন, উপস্থিত সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুল্লাহ, আপনি কেন আমিন আমিন বললেন, তখন রাসুল (সঃ) ৩ আমিনের একটির কারন হিসেবে বললেন– যে রমাদান মাস পেল অথচ গুনাহ মাফ করাতে পারল না তার জন্য ধ্বংস।
আল্লাহ আমাদেরেকে এই ধ্বংস থেকে হেফাজত করুন, রামাদানের সর্বোচ্চ তাকওয়া অর্জন করার তওফিক দিন, এই রামাদান যেন আমার জীবন পরিবর্তনের রামাদন হয় এবং এই রমাদান যেন আমার জান্নাতের পাথেয় হয়। আমিন।।
লেখক : ওয়াহিদ মুহাম্মদ মাহবুব। সলিসিটর, ইউকে।