ব্রিটবাংলা ডেস্কঃ রবিবার একটি মন্ত্রমুগ্ধ সঙ্গীত সন্ধা উপভোগ করলেন লন্ডনের সঙ্গীত পিপাসু শ্রুোতারা।
সাম্প্রতিক সময়ের খ্যাতিমান গীতিকার সৈয়দ দুলালের গান নিয়ে পূর্ব লন্ডনের নজরুল সেন্টারে রাধারমন সোসাইটি আয়োজিত এই সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিলেতের গুনি শিল্পীবৃন্দ। তিন ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সুর সন্ধ্যায় আধুনিক জগতের দাপুটে বাউল গীতিকার সৈয়দ দুলালের রচিত প্রায় সাড়ে ৮শ গান থেকে বাছাই করা কিছু গান পরিবেশন করেন বিলেতের খ্যাতিমান শিল্পী গৌরি চৌধুরী, আলাউর রহমান, লাবনী বড়ুয়া, সাইয়িদা তানি, জুবের আখতার সোহেল,
পরাগ হাসান, বাউল এম হোসেন ও সুফি আমির মোহাম্মদ প্রমূখ।
সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনার সাথে রাধারমন সোসাইটির কর্ণধার কবি টি এম কায়সারের সাবলিল উপস্থাপনা পুরো সময়টি দর্শক শ্রুোতাদের আবিষ্ট করে রাখে।
সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনার সাথে রাধারমন সোসাইটির কর্ণধার কবি টি এম কায়সারের সাবলিল উপস্থাপনা পুরো সময়টি দর্শক শ্রুোতাদের আবিষ্ট করে রাখে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার সৈয়দ দুলাল নিজেও। শিল্পীদের অনুরোধে এক পর্যায়ে তাঁকেও গলা মিলাতে হয় তারই গানে। গানের ফাঁকে দর্শক শ্রুতাদের সৈয়দ দুলালের সঙ্গীত কর্মের বিস্তারিত জানান আরেক খ্যাতিমান গীতিকার জাহাঙ্গীর রানা। তিনি জানান এ পর্যন্ত সৈয়দ দুলালের বই আকারে প্রকাশিত গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮শ।
এর বাইরেও অপ্রকাশিত আছে আরও অনেক। জাহাঙ্গীর রানা তাঁর সতীর্থ গীতিকার সৈয়দ দুলালকে একজন সৃষ্টিশীল মানুষ আখ্যায়িত করে বলেন, সমাজের ভালো-মন্দ যে বিষয়গুলোই মনে দাগ কাটে, সেগুলোই গান হয়ে বেড়িয়ে আসে সৈয়দ দুলালের ভেতর থেকে।
সমাজ-সংসার ছেড়ে দেয়া পূর্ব প্রজন্মের বাউলদের উত্তরসূরী হিসেবে আখ্যায়িত করেন সৈয়দ দুলালকে। জাহাঙ্গীর রানা বলেন, সময়ের বাস্তবতায় দুলাল সমাজ-সংসার ছেড়ে বৈরাগী হতে পারেননি, তিনি আধুনিক সমাজের আধুনিক বাউল। পূর্ব প্রজন্মের বাউল গীতিকাররা সময়ের অভাবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও যা সৃষ্টি করে যেতে পারেননি, তাই এখন সৃষ্টি করছেন সৈয়দ দুলাল, এমন মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর রানা।
রাধারমন সোসাইটি সৈয়দ দুলালকে উপস্থাপন করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কবি টি এম কায়সার বলেন, বাংলা সংস্কৃতির মত এত সমৃদ্ধ সংস্কৃতি পৃথিবীর আর কোন জাতীর আছে কিনা আমার জানা নেই।
রাধারমন সোসাইটি সৈয়দ দুলালকে উপস্থাপন করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কবি টি এম কায়সার বলেন, বাংলা সংস্কৃতির মত এত সমৃদ্ধ সংস্কৃতি পৃথিবীর আর কোন জাতীর আছে কিনা আমার জানা নেই।
সৈয়দ দুলালের সৃষ্টিগুলো সেই সংস্কৃতিরই অংশ।
দুলালের গান মানুষের অন্তর-বাহির দুই দিকেরই কথা বলে, সমাজের অসংগতিগুলো ফুটে উঠে তাঁর গানের ছন্দে ছন্দে। কায়সার জানান, বাংলা সংস্কৃতিকে তারা নিয়ে যেতে চান মূলধারায়। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হলো সৈয়দ দুলালের গানের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতিসুধা থেকে ব্রিটেনের মূলধারাকে বঞ্চিত করা অন্যায়, এটি বৈষম্য। এই চিন্তাধারা থেকেই ইন্ট্রোডাকশন অফ সাউথ এশিয়ান আর্টসের অংশ হিসেবে মূলধারায় সৈয়দ দুলালদের মত সঙ্গীত শ্রষ্টাদের ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে রাধারমন সোসাইটি, এমনটিই জানান এই সোসাইটির কর্ণধার।
অনুষ্ঠানে আগত একজন শ্রোতা রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী হরমুজ আলী সৈয়দ দুলালের গানকে অসাধারণ উল্লেখ করে বলেন, গানের মাধ্যমেই প্রমান হয় দুলাল একজন একজন প্রেমিক মানুষ। তাঁর এই প্রেম দেশের প্রতি, এই প্রেম মাটি ও মানুষের প্রতি, এই প্রেম তাঁর জন্মদাতা ও জন্মদাত্রির প্রতি, এই প্রেম
আমাদের যৌবনের সময়কার
হৃদয়হরণকারী সেই চঞ্চলা
গ্রামীন কিশোরীর প্রতি।
অনুষ্ঠানে আগত একজন শ্রোতা রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী হরমুজ আলী সৈয়দ দুলালের গানকে অসাধারণ উল্লেখ করে বলেন, গানের মাধ্যমেই প্রমান হয় দুলাল একজন একজন প্রেমিক মানুষ। তাঁর এই প্রেম দেশের প্রতি, এই প্রেম মাটি ও মানুষের প্রতি, এই প্রেম তাঁর জন্মদাতা ও জন্মদাত্রির প্রতি, এই প্রেম
আমাদের যৌবনের সময়কার
হৃদয়হরণকারী সেই চঞ্চলা
গ্রামীন কিশোরীর প্রতি।
হরমুজ আলী বলেন, রাধারমন, আরকুম শাহ, শাহ আব্দুল করিমরা
লোকায়িত হয়েছেন, কিন্তু নিজেদের সৃষ্টির সাথে সাথে তাদের উত্তরসূরীও আমাদের জন্য রেখে গেছেন, সৈয়দ দুলালের গান সেটিই আজ
আমাদের জানান দিলো।
সুরমুর্চনাক ফাঁকে পুস্পস্তবক হাতে তুলে দিয়ে সকলের পক্ষ থেকে সৈয়দ দুলালকে অভিনন্দন জানান রাধারমন
সোসাইটির অন্যতম কর্মী নাজনীন সুলতানা শিখা।
লোকায়িত হয়েছেন, কিন্তু নিজেদের সৃষ্টির সাথে সাথে তাদের উত্তরসূরীও আমাদের জন্য রেখে গেছেন, সৈয়দ দুলালের গান সেটিই আজ
আমাদের জানান দিলো।
সুরমুর্চনাক ফাঁকে পুস্পস্তবক হাতে তুলে দিয়ে সকলের পক্ষ থেকে সৈয়দ দুলালকে অভিনন্দন জানান রাধারমন
সোসাইটির অন্যতম কর্মী নাজনীন সুলতানা শিখা।
Advertisement