এসিড আক্রমন বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবী

ব্রিটবাংলা রির্পোট:এসিড আক্রমন বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবী জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।

আর এই দাবী আদায়ে ৫টি প্রস্তাব রেখে হোম সেক্রেটারী বরাবরে ‘এনাফ ইজ এনাফ’ শীর্ষক বিশেষ পিটিশন দাখিলের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার পূর্ব লন্ডনের ওসমানী সেন্টারে এসিড এট্যাক এন্ড কমিউনিটি সেইফটিম্ব বিষয়ক এক পাবলিক মিটিংয়ে মেয়র এই পিটিশন দাখিলের ঘোষনা দেন এবং এতে স্বাক্ষরের জন্য বাসিন্দাদের প্রতি আহবান জানান।

অনলাইনে এই পিটিশনে স্বাক্ষর করা যাবে।

ওসমানী স্ট্রাস্ট এই মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলো।পিটিশনে সংযুক্ত মেয়র প্রস্তাবিত ৫ দফা হচ্ছে

১.যথাযথ কারন ছাড়া এসিড বহনকে ছুরি বহনের মতোই অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে হবে,

২.এসিড ক্রয়ে বয়সসীমা নির্ধারন করতে হবে,

৩.ক্যাশ দিয়ে এসিড বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড দিয়ে এসিড বিক্রি করা হলে অপরাধীকে চিহ্নিত করা সহজ হবে,

৪.এসিডকে কম করোসিভ সম্পন্ন এবং ঘন করতে নির্মাতাদের চাপ দিতে হবে যাতে করে সহজে স্প্রে করা না যায় এবং

৫.এসিড বিক্রেতাদের স্থানীয় কাউন্সিলে রেজিস্টার করতে হবে (২০১৫ সালে কনজারভেটিভ সরকার কতৃক বাতিলকৃত) এবং স্পট চেকের জন্য কাউন্সিলকে ফান্ড দিতে হবে।

সভায় মেয়র বলেন, এসিড এবং অন্যান করোসিভ দ্বারা আক্রমন ভয়ংকর এবং অমানবিক একটি অপরাধ।এটি প্রতিরোধে কাউন্সিল তার সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চেছ।তবে একে নির্মূলের জন্য আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।

এছাড়া পুলিশ বাজেট কাটকেও আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে।আর এজন্য পিটিশনে স্বাক্ষরের জন্য মেয়র সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান।

ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এসিড আক্রমণকে নির্মূলের জন্য আমরা কাউন্সিলের অন্যান্য পার্টনারদের সাথে কাজ করছি।অতিরিক্ত পুলিশ অফিসাররা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

তবে আইনের পরিবর্তনের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।আর এজন্য আমরা পিটিশন দাখিলের উদ্যোগ নিয়েছি।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটসে মোট ১১টি এসিড অথবা করোসিভ জাতীয় তরল দ্বারা আক্রমনের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।

এসব ঘটনা তদন্তে কাউন্সিল সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে যাচ্চেছ এবং স্থানীয় পুলিশ এব্যাপারে বিশেষভাবে সক্রিয় রয়েছে।

এছাড়া মেয়র কতৃক সদ্য নিয়োগকৃত পুলিশ অফিসাররাও এজাতীয় অপরাধ সম্পর্কে বিশেষ নজর রাখছেন।

এর বাইরে কাউন্সিল সমগ্র বারায় সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোর মালিকদের সন্দেহভাজনদের কাছে এসিড বিক্রিতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

কাউকে সন্দেহ হলে তার পরিচয় জানতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

ওসমানী ট্রাস্ট আয়োজিত এই পাবলিক মিটিংয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলের কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কর্মকর্তা এ্যান করবেট, পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক ব্রুম, ইস্ট লন্ডন মসজিদের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর দেলওয়ার হোসাইন, ওসমানী ট্রাস্টের চেয়ার ইমাদুল ইসলাম, ওসমানী ট্রাস্টের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শাফিউর রহমান এবং এসিড ভিকটিম শায়নুল খান।

ACB17

Advertisement