ব্রিটবাংলা ডেস্কঃভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্ট মিউজিয়ামের নিয়ন্ত্রাণাধীন পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন মিউজিয়াম অব চাইন্ড হুডকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আর এলক্ষ্যে বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার ডি মাটোস রায়ান এর নকশায় এর মাল্টি মিলিয়ন পাউন্ডের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে অচিরেই। সংস্কারের পর এতে শিশুদের টার্গেট করে আরো নতুন নতুন কর্মসূচী নেয়া হবে।
গত ৩ অক্টোবর, বুধবার মিউজিয়ামে এক সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এই সংস্কারের ঘোষনা দেন সাবেক শ্যাডো এডুকেশন সেক্রেটারী এবং ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্ট মিউজিয়ামের ডাইরেক্টর ট্রিসট্রাম হান্ট। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেথনালগ্রীন এন্ড বো আসনের এমপি রুশনারা আলী, চিলন্ড্রেনস কমিশনার ফর ইংল্যান্ড এ্যান লংফিহ্ব এবং ডিজাইনার ডি মাটোস রায়ান।
নতুন ডিজাইন এবং সংস্কারের ঘোষনা দিয়ে ট্রিসট্রাম হান্ট বলেন ইস্ট লন্ডনের প্রথম মিউজিয়াম হিসাবে এর অনেক গল্পই বলার আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের টার্গেট করে একে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম আকর্ষনীয় চাইহ্ব মিউজিয়াম হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রুশনারা আলী এমপি বলেন, বেথনালগ্রীনের চাইহ্ব হুড অব মিউজিয়ামটি ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্ট মিউজিয়াম গ্রুপের জুয়েল। নানা বৈচিত্র্যের কারনে এটি আকর্ষনীয়। বিশেষ করে এর ইতিহাস একে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এটি এমন এক স্থানে অবস্থিত যেখানে সারা দেশের মধ্যে শিশু দারিদ্র সবচাইতে বেশী। আর একারনেই একে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার প্রয়োজন অনেক বেশী। যাতে করে এই এলাকার শিশুরা স্বল্প খরচে এখানেই প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বড় হতে পারে। রুশনারা আরো বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের অর্থনীতি এদেশের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল। এর ব্যাপক সংস্কার তথা পরিধি বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা এই এলাকা তথা লন্ডনের শিশুদের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি সুখবর।
অনুষ্টানে উপস্থিত ডিজাইনার এনগাস মরগান রায়ান বলেন, এটি সত্যিকার অর্থেই একটি রোমাঞ্চকর প্রজেক্ট। শিশুদের সাহস এবং আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির লক্ষ্যকে সামনে রেখে এর নতুন ডিজাইন করা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপের সাথে আমরা কাজ করছি যাতে এতে স্থানীয় প্রভাব থাকে। চিলন্ড্রেন কমিশনার এ্যান লংফিহ্ব বলেন, খেলাধূলাসহ শিশুদের যে কোন বিষয়ই সিরিয়াস বিজনেস। তাদেরকে যতো বেশী স্কিল এবং ক্রিয়েটিভ জগতের সাথে পরিচয় করানো যায় ততই তাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো। বেথনালগ্রীন মিউজিয়াম অব চাইহ্ব হুডকে এই লক্ষ্য নিয়েই সাজানো হয়েছে।
এর উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখে সত্যিই আমি আনন্দিত। উল্লেখ্য যে, মিউজিয়ামের উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন গ্যালারী, ফ্লেক্সিবল লার্নিং স্টুডিও, আউটডোর ল্যান্ডস্ক্যাপ ইত্যাদি। ১৮৭২ সালে প্রতিষ্টিত এই মিউজিয়ামটি ইস্ট এন্ডের অন্যতম আইকনিক বিল্ডিং হিসাবে পরিচিত। বিজ্ঞপ্তি