জেলা নেতৃবৃন্দকে বলছি

আহমেদ মোস্তাক : : ১৭ বছর পর বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগ সংগঠনটির কাউন্সিল হতে যাচ্ছে, যাতে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে।
ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বচনের প্রক্রিয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংগঠনটির নবীন-প্রবীণ নেতারা।
দীর্ঘদিন ধরে এই কাউন্সিলকে ঘিরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও চষে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলরদের দুয়ারে দুয়ারে।

প্রার্থীদের মতে, কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচন বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে ।

দলে অনুপ্রবেশকারী সিন্ডিকেট চক্ররা যে ভাবে কমিটি করতে চাচ্ছে তা নিয়ে দুচিন্তাও রয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে গত বিয়ানী বাজার পৌরসভার মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে জেলা নেতৃবৃন্দ এসে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে চলে গেলেন l তৎকালীন কমিউনিস্ট মন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ গেল তাদের কাছে শুধুমাত্র তার নিজ গ্রামের প্রার্থী আব্দুস শুক্কুরের নাম ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে l জেলা নেতৃবৃন্দ বাধ্য হয়ে সাবেক মন্ত্রীর আদেশ শুনতে হল l ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ অখ্যাত একজনকে দলে অনুপ্রবেশকারী নেতা বিখ্যাত বানিয়ে দিলেন! এটাই কি গণতন্ত্র ? নাকি বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র ? তারপরও সকলের আশা এবার সিন্ডিকেট চক্রের পকেট কমিটির ধারা থেকে বেরিয়ে আসবে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগ।

ফিরে দেখা বর্তমান কমিঠির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক —
সভাপতি –আব্দুল হাসিব মনিয়া ২০০৪ থেকে এখন পর্যন্ত l
সাধারণ সম্পাদক –আতাউর রহমান খান ১৯৯৮ থেকে এখন পর্যন্ত l

বিয়ানীবাজার আওয়ামী পরিবার সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দের উপর বিরক্ত —

এই ধরুন 21/02/2006 ইং সিলেট জেলা শাখা প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল বিয়ানীবাজার থানা যুবলীগের l মাত্র কিছুদিনের মধ্যে সংগঠনের গঠনতন্ত্র বহিভুতভাবে কমিটি করায় ৯ মার্চ ২০০৬ ইং সালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করে দিয়েছিল যুবলীগের কমিটি l আপনারা স্ক্রিনশটে দেখে নিন প্রমান l অথচ বাতিল কমিঠির কিছু সদস্য বিয়ানীবাজারের কমিউনিস্ট নেতার সমর্থক থাকায় উক্ত বাতিল কমিটিকে বৈধ বলে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে বছরের পর বছর ধরে l
আরো যে কারণে বিরক্ত সেটি হচ্ছে , জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে থেকে কমিউনিস্ট নেতার ২/১ জন সমর্থক দিয়ে কিছুদিন পর পর ঘোষনা দেয়ানো যে ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রলীগ / যুবলীগের কমিটি হচ্ছে l’

মারাত্নক অভিযোগ —বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় শনিবার (১২ অক্টোবর) বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন, কাউন্সিলর তালিকা পরিবর্তন, লাউতা ইউনিয়নের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে এবং স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ২০ জনের দায়িত্বশীল একটি দল ছিল।
বর্ধিত সভায় শুধুমাত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও পৌরসভা এবং ১০ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও এখানে কোন যুক্তিতে অথবা কোন ক্ষমতার বলে/ কার ইন্দনে বাতিল যুবলীগের মেম্বার অংশ নিলেন ?
অনেকেই এটিকে কাউন্সিল প্রক্রিয়ার শুরুতেই গলদ হিসেবে দেখছেন l

Advertisement