Armed US immigration officers at British airports : ব্রিটিশ এয়ারপোর্টে সশস্ত্র ইউএস ইমিগ্রেশন অফিসার

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রিটেনের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে সশস্ত্র মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করা হচ্ছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রগামী ব্রিটিশ হলিডেমেইকার বা পর্যটকদের উচ্চতর বিমান ভাড়া ও নিরাপত্তা জনিত বাড়তি ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

Link for English

Armed US immigration officers at British airports

 

ট্রান্সআটলান্টিক যাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে নানা রকম ইমিগ্রেশন ফরমালিটিজ ক্লিয়ার করে যেতে হবে – এমন একটি সংস্কারের কার্যকারিতা নিয়ে ওয়াশিংটনে ও হোয়াইটহলে আলোচনা করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীদের বেতনের এবং তাদের পরিবারের ব্রিটেনে বসবাসের যাবতীয় খরচ বহন এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে এয়ারলাইনগুলো ব্রিটেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীদের ভ্রমণে এই অতিরিক্ত খরচ আরোপ করবে।

তাছাড়া এয়ারপোর্টে পৌছার পর বিমানে আরোহণের আগে যাত্রীদের আরও বেশী সময় দিতে হতে পারে, কারণ তাদের স্বাভাবিক চেক ছাড়াও মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ম্যানচেস্টার ও এডিনবরা বিমানবন্দর এরিমধ্যে এই কর্মসূচীতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। তবে হিথরোসহ অন্য বিমানবন্দরগুলো মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের এখানে নিয়োগের জন্য নিয়ে আসার বাস্তবতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এদিকে, এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার ‘কোন পরিকল্পনা নেই’ বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে গ্যাটউইক।

বেশ কিছুদিন যাবত বিদেশে নিজেদের অভিবাসন কর্মকর্তাদের ঘাঁটি গাড়তে আগ্রহী ওয়াশিংটন। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন এবং শ্যানন বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই কয়েকটি দল অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন বিমানবন্দরগুলোতে সচরাচর যে ভয়াবহ অভিবাসনের বিলম্বগুলি ঘটে এই স্কিমের ফলে যাত্রীরা সেগুলো এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবে বলে বলা হচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের পর তাদের ফ্লাইটকে ডোমেস্টিক হিসেবে গণ্য করা হবে। তাছাড়া বিমানে আরোহণের আগেই যাত্রীদের স্ক্রিনিং হয়ে যাওয়ায় ইউএস নিরাপত্তা সুসংহত হবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। এজন্যই হোযমল্যান্ড সিকিউরিটির বর্তমান সচিব জন কেলি ও ওবামা প্রশাসনে তার পূর্বসূরি জেহ জনসন উভয়ই অন্যান্য দেশেও এই স্কিম প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

তবে, নানা দিক বিবেচনায় এনে ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্মকর্তাদের ব্রিটিশ মাটিতে দেখা যেতে অন্তত পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

Advertisement