ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকান্ডের এক মাস পুর্ন হয়েছে। ১৩ জুন মধ্যরাত ১২ টার পরে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে ৮০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হলেও এখনো নিঁখোজ আছেন অসংখ্য মানুষ। নিহতদের মধ্য থেকে ইতোমধ্য ৩৪ জনের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। বুধবার আরো ১০ জনের পরিচয় সনাক্তের কাজ শুরু করেছে করোনার কোর্ট ।
Link for English
Grenfell Tower: Angry survivors shouts of ‘arrest someone’
এদিকে ঘটনার একমাস পরেও কাউকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এছাড়া আগুনের পরেও প্রায় দু’ ঘন্টা বাসিন্দাদের ফ্লাটের ভেতরে অবস্থান করতে বলায় অনেকে নিজের জীবন রক্ষা করতে পারেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। আগুনের পরে ভেতরে অবস্থান করতে বলেছিল ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে বুধবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরের নতুন ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। এতে দেখা গেছে, পুলিশ আগুনে পোড়া একটি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করছে। অগ্নিকান্ডের সময় ভবনের শত শত বাসিন্দার নীচে নামার জন্যে এটিই একমাত্র সিড়ি ছিল। আগুন লাগার পর ছোট্ট এই সিড়ি দিয়েই নীচে নামার চেষ্টা করেন টাওয়ারের শত শত বাসিন্দারা। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই অনেকে মৃত্যুবরণ করেন । আগুন লাগার পর রাত ২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত বাসিন্দাদের ফ্ল্যাটে অবস্থান করতে বলা হয় বাসিন্দাদের। অথচ রাত প্রায় ১টার বাজার ৬ মিনিট আগে প্রথম ইমার্জেন্সি নাম্বারে টেলিফোন করা হয়। অর্থাৎ আগুন লাগার পরেও প্রায় ১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট ফ্লাটে থাকতে হয়েছে তাদের। পরবর্তীতের তাদের অনেকেই ছোট্ট এই সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে পারেননি। ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে সিড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।
গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুনের ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে ৩১ জন ফায়ার ফাইটারও আহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডের পর ফায়ার ফাইটাররা বীরত্বের পরিচয় দিলেও প্রশ্ন উঠেছে আগুন লাগার পর বাসিন্দাদের ভেতরে রাখার ফায়ার সার্ভিসের পলিসি নিয়ে। আগুন লাগার পরেও প্রায় দুই ঘন্টা বাসিন্দাদের ভেতরে আটকে রাখার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না হতাহতের স্বজন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা। এই পলিসি পরিবর্তনের ব্যাপারটি বিবেচনায় আনতে তদন্ত কমিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর কেনসিংটন এবং চেলসি বারার চীফ এক্সিকিউটিভ এবং কাউন্সিল লিডার পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচিত হয়েছেন নতুন কাউন্সিল লিডার। তবে ঘটনার এক মাস পূর্ণ হলেও এখনো নিখোঁজ স্বজনদের খোজে এবং ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের অপেক্ষায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বুধবার স্থানীয় চার্চে অনুষ্ঠিত এক সভায়, এই ঘটনার দায়ে অন্তত একজনকে গ্রেফতারের দাবিতে চিৎকার করেন তারা।
Link for English
https://britbangla24.com/news/6396