ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুক্তরাজ্যে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০১২ সালের পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ। গতকাল সোমবার দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস এ তথ্য জানায়। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) বলছে, কারখানার উৎপাদন ও গাড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণেই অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে অস্থিতিশীলতা ও দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য আগামী বছর প্রবৃদ্ধি আরও কমবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশটির প্রবৃদ্ধি হয় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ, যা তার আগের প্রান্তিকেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ, গাড়ির উৎপাদন কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
ওএনএস প্রধান কেন্ট স্মিথ বলেন, শেষ তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়ার কারণ হলো গাড়ির উৎপাদন, ইস্পাত উৎপাদন কমে যাওয়া। এমনকি নির্মাণ খাতেও প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে স্বাস্থ্য খাত, ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সেবার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, উল্লিখিত পরিসংখ্যান দেখে এটা বলা যায়, অর্থনীতি ‘মৌলিকভাবে শক্তিশালী। তিনি কোনো মন্দার পূর্বাভাস বলে একে মনে করছেন না।
এ সংবাদের পর মুদ্রাবাজারে পতন হয়। যুক্তরাজ্যের বাজারে ডলারের বিপরীতে কমে যায় পাউন্ডের দর।