ছবির ভাষায় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

আলহামরা নাসরীন হোসেন লুইজা। অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় তিনি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধুর দূর্লভ ৬০০(ছয়শত) ছবি সম্বলিত ফটো এ্যালবাম ‘‘ছবির ভাষায় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’’। এদেশ তৈরির স্থপতি কে ছিলেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাঁর অসাধারণ এ উদ্যোগ। এ বিষয়ে কথা হলো মুক্তমঞ্চ’র সাথে।
বেড়ে উঠা একটু ভিন্নভাবেই বলা চলে। কারণ একজন মেয়ে না হয়ে, মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠাই ছিলো তার বাবার ইচ্ছে। ডানপিটে স্বভাবের হয়েও, নিজের ভিতর লালন করেছে শিল্প-শৈল্পিকতার এক জগৎ। বাবার দেয়া আর্দশ। বর্তমানে ‘আই আর এ’ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, বর্ণপ্রকাশ লিমিটেড, ‘অধরা ফাউন্ডেশন’, ‘স্মিথ এ্যাভেসিভ কেমিক্যাল’, ‘শক্তি একাডেমি’-র কর্ণধার আলহামরা নাসরীন হোসেন লুইজা। তাঁর প্রতিটি কাজে অনুপ্রেরণায় রয়েছে, স্বামী প্রফেসর ড. এ.টি. এম রেজাউল হক, মেয়ে অঙ্গনা, অরণ্য এবং শুভাকাঙ্খীবৃন্দ।
বগুড়া স্কুল ও কলেজে পড়াশোনার সময় প্রথম দেখা বঙ্গবন্ধু কে। সেদিনের সেই বঙ্গবন্ধুর কন্ঠ আজো তাঁর কানে ভেসে আসে। অদ্ভুদ এক ভালোবাসা জন্মে বঙ্গবন্ধুর প্রতি। এই ভালোবাসা আরো গভীর হয়, যখন দেখতেন, তাঁর বাবাও বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ভালোবেসে, স্বাধীনতার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর মতই পোষাক পরিধান করতেন মৃত্যুর দিন পর্যন্ত।
জানালেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিতে পড়াশোনা। ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতি করেছি রাকসু নির্বাচন করেছি। মধ্যবয়সে এসে ভাবলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন একটা কাজ করতে চাই যা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হয়। তার ইচ্ছে, শুধু বাংলাদেশ নয় সমস্ত বিশ্বে এই এ্যালবামটি পৌছে যাক। নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানুক। জানুক কে এই বঙ্গবন্ধু? কি বা তার পথ চলা? তিনি এদেশের স্থপতি তাঁকে যে চিনতেই হবে। এই এ্যালবামটি তরুন সমাজ দেখবে আর নিজেকে তৈরি করবে আমি দিনের জন্য। ছবি থেকে ইতিহাস গ্রহন করবে এবং এদেশে লক্ষ লক্ষ মুজিবের জন্ম হবে।
কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা ভোগ করার জন্য নয়। এ এ্যালবাম বিক্রির অর্থ দিয়ে, তাঁর ইচ্ছে একটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরি এবং সমাজ থেকে নেশামুক্ত করার লক্ষ্যে, তরুন সমাজের জন্য একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা। যেখানে নেশার দিকে না ঝুঁকে, ছেলে মেয়েরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
আরো জানালেন, নিজস্বার্থ না ভেবে, আমাদের দলগত ভাবে এগুতে হবে। যেমনি বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা কর’ উনি আমাদের দেশ গড়ার জন্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তেমনটাই স্বপ্ন আমি দেখি, আপনাদেরও দেখতে হবে। সমাজে আরো একটি কথা প্রচার করতে চাই, আপনি আপনার সন্তানদেরকে সত্য ইতিহাস জানান। বাবা-মা হওয়ার জন্য প্রয়োজন নিজেকে শুদ্ধ করা। একরণে সবাইকে ভাল মনের এবং স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। ভবিষতে যদি আমার ভাল থাকতে চাই, তবে অবশ্যই প্রয়োজন ধৈয্য, সহনশীলতা, সহযোগিত আর সহমর্মীতা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটি কথাই বলবো ‘ভালবাসায় বিশ্বজয়’।

Advertisement