বলা হয়, ‘অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে, তবু হিগুয়েইন টিকিয়া আছে।’ সে কোন কোটায় দলে সুযোগ পায়? থাক, সে কথা না বলি, তাহলে আবার চাকরি থাকবে না। নিজের দল, নিজের দেশ নিয়ে বদনাম তো আর করতে পারি না, শুধু একটা কথাই বলব, ‘সবকিছু কোটাধারীদের অধিকারে যাবে।’
লিরয় সানে
অনেকেই হয়তো চিনবেন না আমাকে। মেসি-রোনালদো-নেইমার ছাড়া আপনারা কাউকে চেনেন বলে মনে হয় না, তবুও বলি। আমি লিরয় সানে। খেলি ম্যানচেস্টার সিটিতে। দেশ জার্মানি। গত বছর আমার খেলা দেখে থাকবেন হয়তো। না দেখলেও অবাক হব না। আমাদের জাতীয় দলের কোচই খেলা দেখেননি আমার, দেখলে কি বাদ দিতেন? আমাদের অ্যাডলফ হিটলার পর্যন্ত রাশিয়ায় গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছিলেন। হারালেন রাজ্য। আর জোয়াকিম লো ভেবেছিলেন টানা দুবার বিশ্বকাপ জিতবেন! হা হা হা। তিনি ফোন দিয়ে একদিন বললেন, ‘তুমি ভালো খেলো। কিন্তু ফাইনাল দলে সুযোগ পেতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ আমি সানে। মেডিকেলের প্রশ্নপত্র দিতে চেয়েছিল পাঁচ লাখ টাকায়। আমি নিইনি। বুঝেছিলাম, অসৎ পথে চিকিৎসক হয়ে লাভ নেই, ফুটবলার হলাম। জার্মানি গ্রুপ পর্ব থেকে যখন বাদ পড়ল, তখন হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না। দেশ খারাপ করলে আমাদের হাসি পেলে আমরা হই দেশদ্রোহী। আর লো যা ইচ্ছা করে বেড়াবেন, তা হবে দেশপ্রেম। দ্বৈত নীতিতে জাতির পতন নিশ্চিত।