ফারজানা ইসলাম লিনু
আমার বাল্য শিক্ষার প্রথম পাঠ শুরু হয়েছিল মসজিদের ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে। বাড়ির সামনে বিশাল পুকুর, লাগোয়া একটা পারিবারিক গোরস্থান তারপাশেই মসজিদের অবস্থান। নিকটস্থ এই মসজিদে প্রথম দিন গিয়েই দেখি হুজুর কতগুলো ছেলে মেয়েকে দাঁড় করিয়ে বেশ ভালো করে উত্তম মধ্যম দিচ্ছেন। সাথে সাথে হুজুরের বাজখাঁই কন্ঠের চিৎকার, আর কে কে গিয়েছো, মাধবকুণ্ডের বারুণীর মেলায়? মিথ্যা কথা বলবেনা। পরে কিন্তু শাস্তি আরো বেশি পাবে। শাস্তির সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে বেশি সময় লাগেনি। সেইদিনই সম্ভবত প্রথম মাধবকুণ্ড বা বারুণী শব্দের সাথে আমার পরিচয়। কয়েকজন ছেলেমেয়ে হুজুরের পিটুনি হজম করলেও বাকিরা কেঁদেকেটে আকুল। বেত্রাঘাত পর্ব শেষ করে হুজুর মাধবকুণ্ডের বারুণীর মেলার উপর লম্বা এক বয়ান দিলেন।
মাধবকুণ্ডের এই বারুণীর মেলা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা যাবে তারা হাবিয়া দোজখে যাবে। হুজুরের এই সাবধান বাণী তাৎক্ষণিক ভাবে সবার কর্ণগোচরে প্রবেশ করলেও পরের বছর আসতে আসতে অনেকে ভুলে যায়। কিছু কৌতুহলী কিশোর আবারও চৈত্র সংক্রান্তিতে বারুণীর মেলায় যায়। বেরসিক, পরশ্রীকাতর প্রতিবেশি ছেলেমেয়ে যারা মেলায় যেতে ব্যর্থ হয়, তারা মসজিদে এসে হুজুরের কানে কথাটা তুলে। ফের বিচারের কাঠগড়ায় মেলাগামী শিশু কিশোররা। হুজুরের তেল মাখানো বেতের বাড়িতে অকপোট স্বীকারোক্তি, “আর জীবনে যাইতাম নায়।”
মসজিদে পড়ার দুই তিন বছর পার হয়েছে ইতিমধ্যে।আমার অতি করিৎকর্মা মেঝোভাইয়ের মসজিদের পাঠ শেষ। লুকিয়ে আম্মাকে না বলে সেবার বারুণীর মেলায় গেলেন মেঝোভাই। নিজের জমানো টাকা থেকে কারো জন্য কিছু না আনলেও আমার জন্য মাটির হাড়িপাতিল, হাতিঘোড়া, তিলুয়া, বাতাসা নিয়ে আসেন। ভাইজানের ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তিলুয়া বাতাসা খেয়ে শেষ করি। হাতি-ঘোড়া, হাড়িপাতিলও লুকিয়ে রাখি সযত্নে। পাছে বড় ভাই দেখে ফেলেন। দেখলে উপায় নেই, মেঝো ভাইয়ের খবর আছে। মাধবকুণ্ড বলতে ধারণা বারুণীর মেলার হাড়িপাতিল ও তিলুয়া বাতাসা পর্যন্ত পাখা মেলেছে। মাধবকুণ্ডের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে আমাদের ধারনা তখনো অজানা। স্কুলে যাতায়াত শুরু হয়েছে। মসজিদের পাঠ তখনো শেষ হয়নি। খেয়াল করতাম অনেক দূর বিশেষ করে ঢাকা থেকে অতিথিরা আসতেন মাধবকুণ্ড ভ্রমণে। মাধবকুণ্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সবাই যারপরনাই মুগ্ধ ও বিমোহিত। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা বড়ই নাজুক। সেই সাথে রয়েছে মৃত্যুভয়। দুইশো ফুট উচু থেকে গড়িয়ে পড়া ঝর্ণার পানিতে গোসল করতে নেমে প্রতিবছর দু একজন মানুষের মৃত্যু ছিল অবধারিত। এসব মৃত্যু নিয়েও ছিল নানা মুখরোচক গল্প। মাধবকুণ্ডেরর এই কুপটা অত্যন্ত ভুতুড়ে। বেশ কিম্ভুতকিমাকার এক ভুতের আবাস এইখানে। যদিও ভুতটাকে স্বচক্ষে কেউ দেখেন নি। হাউ মাউ কাউ মানুষের গন্ধ পাও। রক্ত পিপাসু এই ভুতটা প্রতিবছর কোন এক কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে একেকজনকে গায়েব করার পরিকল্পনা করে। তাই গোসল করতে নামা পুণ্যার্থি বা পর্যটকদের মাঝখান থেকে একজন পুরোপুরি নাই হয়ে যান বছরের যে কোন সময়। অভাগা ব্যক্তির লাশটা পর্যন্ত খোঁজে পাওয়া যায়না। এইসব ভীতিপ্রদ কাহিনী শুনে মাধবকুণ্ড যাত্রার শখ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়।
সময় আর ইচ্ছা তো আর একই রকম থাকেনা। কৈশোর পেরিয়েছি মাত্র। বাড়িভর্তি চাচাতো ভাইবোন। কেউ কেউ তখন পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে। কোন এক শীতকালে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হল মাধবকুণ্ড ভ্রমনে যাব। ছানাপোনা মিলিয়ে লোকজন অনেক। পরিকল্পনা মত একটা মুরির টিন বাস জোগাড় করে দিনক্ষণ ঠিক করা হল। খুব ভোরে বাসে মাইক লাগিয়ে রান্নার সরঞ্জামাদি আর মানুষে ঠাসাঠাসি করে যাত্রা শুরু হল আমাদের। জীবনের প্রথম পারিবারিক বনভোজনে যাচ্ছি, উত্তেজনার শেষ নেই। প্রচণ্ড রক্ষণশীল এলাকা আমাদের। মাইক বাজিয়ে কেউ পিকনিকে যাবে সেটা তো কল্পনার অনেক উর্দ্ধে। উৎসুক মানুষের কৌতুহল পেছনে ফেলে গানের তালেতালে আমাদের বাস এগিয়ে যায় মাধবকুণ্ডের দিকে। বিশ মিনিটের ভেতরেই কাঠালতলী পৌছে গেলাম। মাধবকুণ্ডের রাস্তায় নামতেই ঘটলো বিপত্তি। ভাঙ্গাচোরা রাস্তার ঝাঁকুনিতে পেটের খাবার অতি দ্রুত হজম হয়ে পুষ্টি উপাদান শরিরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়াতে শুরু করেছে। হেলেদুলে যাচ্ছে বাস। এত ঝাঁকুনিতেও ছানাপোনাদের চোখে মুখে বিস্ময়, বড়দের চোখে আনন্দের আবেশ —“দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপরে একটি শিশির বিন্দু।”
রাস্তার দু’পাশের অবারিত সবুজ প্রকৃতি মাড়িয়ে গড়াতে গড়াতে বাস মাধবকুণ্ডে গিয়ে পৌছালো। মাধবকুণ্ড লিখা সাইনবোর্ড দেখে সবাই মহাখুশিতে গাড়ি থেকে নামি। অবশেষে আসা হল মাধবকুণ্ড! সমস্বরে সবার জিজ্ঞাসা, ঝর্ণা কোথায়?
ঝর্ণা! সাথে থাকা বড়দের আশ্চর্যবোধক চিহ্ন সম্বলিত উত্তর। ঝর্ণা দেখতে হলে আরো মাইল দেড়েক হাঁটতে হবে।
ইয়া মাবুদ! বাসের ঝাঁকুনিতে আণ্ডাবাচ্চাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কেউ কেউ পারলে ঝর্ণা না দেখেই ফিরে আসে। এতদুর গিয়ে ফিরে আসার সুযোগ ক্ষীণ বা নেই বললে চলে।
অবশেষে বিরস বদনে সবাই হাঁটা শুরু করলো। শীতকালের রোদ তাও কপালে তা দিচ্ছে। ধুলিমাখা পাহাড়ি পথ ধরে চলছি আমরা। সবার হাতে রান্নার জিনিস কিছু না কিছু আছে। গন্তব্যে পৌছাতে হবে তাড়াতাড়ি, রান্নাবান্না যে এখনো বাকি। কিছুদূর যেতেই আমাদের ইয়ারুনের বেরসিক জুতাটা গেলো ছিড়ে। ইয়ারুনের চিৎকার ও মাইগো আমি এখন যাইতাম কিলা?
কিচ্ছু করার নেই, বেচারি ইয়ারুন খালি পায়েই রওয়ানা দিল। দুই হাত ভর্তি জিনিস তার, সেইসাথে ছেড়া জুতা খানা তো আছেই। একটু পরপর ও মাইগো আর পারিনা। শুধু ইয়ারুনই না আমাদের সবারই এক অবস্থা। ক্ষিধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। অনেকের জুতার অবস্থা তখন নাজুক, পায়ে ফোসকা পড়িপড়ি করছে। বেশি ক্লান্তিতে ঝর্ণা দেখা ব্যতি রেখে সবাই মিলে টিলার ঘাসের উপর পা ছড়িয়ে বসে একটু জিরোতে থাকি। সাথে নিয়ে আসা নাস্তাটা খেতে গিয়ে টের পেলাম ক্ষুধার তীব্রতা। এইখানেই শুরু হল রান্নার আয়োজন। মুরব্বি আর পাচকদের রেখে বাকিরা চললাম ঝর্ণা দর্শনে। দূর থেকেই শোনা যাচ্ছে ঝর্ণার কলধ্বনি আর রিনিঝিনি শব্দ। যতই এগিয়ে যাচ্ছি ছন্দময় শব্দ আরো কাছে আসছে। ঝর্ণার একেবারে কাছাকাছি যাওয়ার পর শীতল বাতাসের ছোয়ায় প্রশান্তিতে মন ভরে যায়। বিরামহীন ছন্দে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঝর্ণার পানি। বেড়াতে আসা লোকজন পরমানন্দে সাতার কাটছে ঝর্ণার কুপে। অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি কিছুটা বিরক্তি দিচ্ছে বাদবাকি আগন্তুকদের ।কিন্তু কি আর করা! আনন্দ ভ্রমণে এসে আনন্দ ফুর্তি তো করতেই হবে।
বিশাল পাথরের গাঁ বেয়ে অনেক উঁচু থেকে পড়ছে স্বচ্ছ পানি। পিচ্ছিল পাথরে দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। কুপের গভীরতা আর গুহা সদৃশ ভগ্ন পাহাড়ের খানাখন্দ দেখে বুঝতে বাকি থাকলো না ডুবে যাওয়া লাশের অস্তিত্ব কেন খোঁজে পাওয়া যায়না। প্রবলবেগে পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা ঝর্ণার স্রোতে সাতার কাটতে নেমে অসাবধানতা বশতঃ কেউ ডুবে গেলে পিচ্ছিল প্রস্তর খন্ডের চিপায় আটকে যায়। দক্ষ ডুবুরি বা উদ্ধারকারী বাহিনী না থাকায় লাশটা খোঁজে পাওয়া যায়না অনেক সময়। খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতার দায় গোছাতে মুখেমুখে ছড়ায় নানা ভৌতিক ও মুখরোচক কাহিনী।
দুইশো ফুট উপরেও ঝর্ণার উৎপত্তিস্থলেও অনেক মানুষের ভীড়। এত নিচ থেকের সবাইকে অনেকটা লিলিপুটিয়ানদের মত লাগছে। কৌতুহলী পরিব্রাজকরা বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে সেই চূড়ায় উঠেছেন ঝর্ণা দেখতে। আমাদেরও শখ হল পাহাড়ের চূড়ায় উঠবো, ঝর্ণার উৎপত্তিস্থল দেখবো। শুরু হল হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে তো আর গন্তব্য মিলে না। উর্ধ্বমুখি হাঁটার কারণে কষ্ট আগের চেয়ে একটু বেশি হচ্ছে। একটু হাঁটি তো একটু বিশ্রাম নেই। তবুও ক্লান্তিকে আমলে নেই না আমরা। কিছুক্ষণ পরপর জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে ডেকে উঠে নাম না জানা কত পাখপাখালি। ঘন জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে সুয্যি মামা পুরা মুখ দেখাতে পারেন না। লুকোচুরি খেলার ছলে একটু একটু উঁকি ঝুঁকি দেন। শুকনো পাতা মাড়িয়ে আমাদের যাত্রা পথে দেখা মেলে পাহাড়ি ঝর্ণার ছোট ছোট ধারার। শীতল স্বচ্ছ পানিতে হাত-পা ভিজিয়ে, কখনো বা মুখ ধুয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা। ঘন্টাখানেক হাঁটার পর পেয়ে যাই বহু আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। কিন্তু ঝর্ণার উৎপত্তিস্থল কোথায়? নীচ থেকে এটাকেই ঝর্ণার উৎপত্তিস্থল মনে হলেও আমাদের কাছে অধরা থেকে যায় জায়গাটা। আরো অনেক দূরে গভীর জঙ্গলের কোন অজানা জায়গা থেকে আসছে মায়াবি ঝর্ণা। যা আমাদের নাগালের অনেক বাইরে। সুউচ্চ পাহাড়ে ঝর্ণা দর্শন শেষে এইবার নেমে আসার পালা। ঢালু রাস্তা দিয়ে নেমে আসতে তেমন কষ্ট হয়না। ছুটে চলা ঝর্ণার জলে পা ভিজিয়ে নিচে নেমে আসি। শুরু হয়েছে গুনেগুনে ছবি তোলা। ইয়াশিকা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট সংখ্যক ছবি তোলা যাবে। ছয়ত্রিশটার বেশি এক রিলে থাকেনা। এরমধ্যে ছবি নষ্ট হলেতো হয়েছেই। ক্লান্ত শরীরে কষ্টের কাষ্ঠ হাসি হেসে ছবি তুলছে সবাই। কারো চোখের কাজল গড়িয়ে গালের কাছাকাছি চলে এসেছে। কারো চুল উষ্কখুষ্ক। পায়ের জুতা জোড়া খুলে রেখেছেন কেউ কেউ।
জঙ্গলের ভেতর টিলায় বসে ভোজনপর্ব শেষ হয় আমাদের। খেয়েদেয়ে সবার জানে পানি এসেছে। কিন্তু জুতার শোকে বেচারি ইয়ারুনের মুখটা বাংলা পাঁচের মতো তখনো। পার্শ্ববর্তি চা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, শিবমন্দির ও টিলার আশেপাশে ছবি তুলতে তুলতে লক্ষ্য করি চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছে। ঘন গাছগাছালি ও পাহাড়ি পরিবেশ থেকে দ্রুত প্রস্থানের জন্য তাড়া পড়ে আমাদের। আবারও মাইল দেড়েক হেঁটে বাসের কাছে আসা। অনেকের পায়ের পাদুকা তখন হাতে। শ্রান্ত ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসে উঠার পর আবার আমাদের মুড়িভর্তা হয়ে বাড়ি ফেরা। ছানাপোনাদের অনেকেই তখন ঘুমে কাহিল। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে হাস্যরসাত্মক সব কাহিনী নিয়ে নিজেদের একটা অধিবেশন হয়। আমাদের আনন্দ ভ্রমণ সেদিন টক অব দ্যা ভিলেজ ছিল। সরাসরি না বললেও সেদিনের খুতবায় হুজুরের কৌশলি ওয়াজ ছিল আমাদের উদ্দেশ্যে। অরণ্য দেখার মত গর্হিত কাজে যাতে আর কেউ উৎসাহিত না হয় তাই এই আগাম প্রচেষ্টা। আমরা অবশ্য পরবর্তি আনন্দ ভ্রমণের স্থান ও ক্ষণ ঠিক করে ফেলি। করিৎকর্মা আণ্ডাবাচ্চাদের পরবর্তি অভিযান থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। না বলে কিছুক্ষণের জন্য জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের জন্য এই অবধারিত শাস্তির সিদ্ধান্ত।
ব্যস্ততায় পুর্ণ জীবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ি সবাই। আর এক হয়ে যাওয়া হয়না মাধবকুন্ড। যদিও আরো এক দুইবার গিয়েছি আলাদা ভাবে। ভালো লাগার মত তেমন কিছু চোখে পড়েনি। সেই ঘন বৃক্ষ ঘেরা নির্জন অরণ্য হয়েছে জনাকীর্ণ। পর্যটন শিল্পের কল্যানে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে সর্বত্র। শ্রীবৃদ্ধির বদলে শ্রীহীন হয়েছে মাধবকুণ্ড। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্রে এসেছে অনেক পরিবর্তন। ঝর্ণাধারা আগের চেয়ে হয়েছে ক্ষীণ। মানুষের ফেলে দেওয়া বৈর্জ্যে স্বচ্ছ পানি হয়েছে নোংরা, ময়লা। কৃত্রিমতার ছোয়া লেগেছে সর্বত্র। মানুষের আগ্রাসী মনোভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি। কিন্ত আমার স্মৃতি পট থেকে হারিয়ে যায় না প্রথম ভ্রমণের স্মৃতি।