লেখা: শরীফ মজুমদার
তুই একটা ডাহা ট্রাম্প।
মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ। আমি দিনে কেবল পাঁচটা মিথ্যা বলি, সাড়ে ছয়টা না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আর আমাদের দেশের ‘তেনা’দের মধ্যে পার্থক্য কী বলেন তো?
ট্রাম্প দিনে সাড়ে ছয়টা মিথ্যা বলেন আর আমাদের ‘তেনা’রা বলেন সাড়ে ছয়টা সত্য!
এই যে মিয়া, আপনার কথার তো কোনো ঠিক নাই। ট্রাম্পের মতো নয়-ছয় করেন কথায়।
ভাই, আপনার ইনফরমেশনের মধ্যে কিঞ্চিৎ রং আছে, ট্রাম্প সাহেব কথায় নয়-সাড়ে ছয় করেন, নয়-ছয় না!
দোস্ত, লায়ার বানানটা যেন ক্যামনে?
টিআরইউএমপি!
আরে আমি শুধু লায়ার-এর বানান জিজ্ঞেস করছি, গ্রেট লায়ার না!
তোর আইইএলটিএস স্কোর যেন কত আসছে?
সিক্স পয়েন্ট ফাইভ।
ছি!
ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম দেশি ইয়ে
লেখা: আহমেদ খান
পোশাক
ডোনাল্ড ট্রাম্প:
স্যুট-টাই পরেন।
দেশি ইয়ে: পায়জামা-পাঞ্জাবি কিংবা সাফারি-প্যান্ট পরেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: ট্রাম্প হাস্যকর কথাও সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলেন।
দেশি ইয়ে: সিরিয়াস কথাও হাস্যকর ভঙ্গিতে বলেন।
কেলেঙ্কারি
ডোনাল্ড ট্রাম্প: ট্রাম্পের কেলেঙ্কারি ক্রমশ প্রকাশ্য।
দেশি ইয়ে: কোনো কেলেঙ্কারি নেই। থাকলেও কেউ কোনো দিন জানতে পারে না। জানলেও কেউ কোনো দিন তা নিয়ে কথা বলার সাহস পায় না। কেউ সাহস করলে… (এ কথাটি আর সাহস করে বলা যাচ্ছে না)।
পারিষদ
ডোনাল্ড ট্রাম্প: ট্রাম্পের আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরা একে একে টপাটপ পদত্যাগ করে ট্রাম্পকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
দেশি ইয়ে: দেশি ইয়েদের আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরা কখনো পদত্যাগ করেন না। তাঁরা এতটা নিমকহারাম নন। তাঁদের অভিধানে পদত্যাগ
শব্দটি নেই। হস্ত এবং পদ ত্যাগ কেবল পথচারীদেরই মানায়।
মিথ্যা
ডোনাল্ড ট্রাম্প: ট্রাম্প গড়ে দিনে সাড়ে ছয়টা মিথ্যা বলেন।
দেশি ইয়ে: হি হি হি…হো হো হো…!
প্রার্থনা
ডোনাল্ড ট্রাম্প: ট্রাম্পের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অন্য কেউ হোক, এটা প্রায় সবাই চায়।
দেশি ইয়ে: আমাদের ইয়েরা বদলে যাক, এটা আমরা চাই না। তাঁরা তো ঋতু নন যে কদিন পরপর বদলাবেন, তাই না?
বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কত কিছুই তো হচ্ছে, বিজ্ঞাপনও হচ্ছে দেদার। বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প থাকবেন কিন্তু সেটা সরস হবে না, এটা তো হওয়ার নয়। নিচের এই বিজ্ঞাপনগুলোতেও রস আছে। অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইট ঘেঁটে সেসবই উদ্ধার করলেন মেহেদী হাসান
বিরক্তিকর হও
নির্মাতা: এম অ্যান্ড সি সাচি (ইতালি)
প্রতিষ্ঠান: গ্লোবাল সিটিজেন
প্রকাশকাল: নভেম্বর ২০১৭
যেকোনো ইস্যুতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হয়। একটি টুইটও বদলে দিতে পারে পৃথিবী। ২০১৭ সালের কান সৃজনশীল উৎসবের ইয়ং লায়ন্স কম্পিটিশনে ২৪ ঘণ্টায় বিজ্ঞাপনটি তৈরি করে স্বর্ণপদক জিতে নেয় এম অ্যান্ড সি সাচি। বিজ্ঞাপনে নীল টুইট সংকেতগুলো দিয়ে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত কণ্ঠ বোঝানো হয়েছে, যা ট্রাম্পের মতো বিশ্বনেতাদের প্রয়োজনে বারবার বিরক্ত করে হলেও সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করবে।
সুইইইশশ!
নির্মাতা: রিফর্ম অ্যাক্ট (সুইডেন)
প্রতিষ্ঠান: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০১৭
মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে অর্থ পাঠানোর স্মার্টফোন অ্যাপের নাম সুইশ। বাতাসের শব্দ বোঝাতেও ‘সুইশ’ ব্যবহার করা হয়। অনেকটা ‘কানের পাশ দিয়ে গেল’র মতো। মূলত তরুণদের জন্য তৈরি এই বিজ্ঞাপনে মানবাধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। বিজ্ঞাপনে লেখা, ‘৯০০০৭২০ নম্বরে ১০০ ক্রোনা সুইশ করুন, যাতে আমরা বিশ্বের মোড়লদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে পারি।’ ট্রাম্পের চেয়ে বড় মোড়ল আর কে হতে পারে?
ট্রাম্প
নির্মাতা: শোলজ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস (জার্মানি)
প্রতিষ্ঠান: ডার টাগেসপিগেল
প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৬
২০১৬ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জার্মান সংবাদপত্র ডার টাগেসপিগেলের বিশেষ সংখ্যার বিজ্ঞাপন। তিনি কি হোয়াইট হাউসে পা রাখবেন? উত্তরটা এখন সবারই জানা।
রাজনীতি থেকে খেলা
নির্মাতা: বের্দে (প্যারাগুয়ে)
প্রতিষ্ঠান: নিয়ানদুতি (ডিজিটাল রেডিও)
প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০১৭
শিরোনামেই বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। রেডিওতে যে রাজনীতি থেকে খেলা পর্যন্ত সব খবর প্রকাশ করা হয়, পৃথিবীটাকে ফুটবল বানিয়ে ট্রাম্পের খেলা থেকে তা-ই বোঝানো হয়েছে।