ঢাকা ফাঁকা রাখতে চাইলে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়ি ফিরেছে ঢাকাবাসী। আর তাতে খাঁ খাঁ করেছে ঢাকার চিরায়ত ‘জ্যামাত্মক’ রাস্তাঘাট, কোলাহলপূর্ণ অলিগলি, পাড়া-মহল্লা। তবে এমন ফাঁকা ঢাকাই সবার কাম্য। ঢাকাকে ফাঁকা রাখার কিছু উপায় জানাচ্ছেন শরীফ মজুমদার

উৎসবের আয়োজন

বাঙালি উৎসবপাগল জাতি। আর উৎসব মানেই প্রিয়জনদের সান্নিধ্য। বছরে দুই ঈদ ছাড়াও যেকোনো উৎসবের ছুটিতে ঢাকাবাসীর তাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মন আনচান করে। কাজেই ঢাকাকে ফাঁকা রাখতে চাইলে বেশি বেশি উৎসবের আয়োজন করা যেতে পারে। পুরোনোগুলোর পাশাপাশি প্রচলন করা যেতে পারে নতুন নতুন আরও অনেক ডিজিটাল উৎসবের। এ ছাড়া একটা পুরো বছরকে ‘উৎসব বর্ষ’ ঘোষণা করে ৩৬৫ দিনই ছুটির ব্যবস্থা করতে পারে সরকার।

একটি বাড়ি একটি অফিস প্রকল্প

প্রতিদিনই জীবিকার তাগিদে ঢাকায় আসছে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকামুখী এই জনস্রোত সামলানোর জন্য সরকার ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মতো গ্রামে গ্রামে ‘একটি বাড়ি একটি অফিস’ প্রকল্প চালু করতে পারে। এতে ঢাকায় মানুষের আসা তো কমবেই, ঢাকার চাকরিজীবীরাও গ্রামমুখী হবে।

হরতাল-অবরোধ

একসময় আমাদের ছিল গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ আর রাজনীতির অঙ্গনভরা হরতাল-অবরোধ। আহা, রাজনীতির সেই সোনালি দিন আজ কোথায়! কোথায় গেল হরতালের দিনের ঢাকার সেই ফাঁকা রাজপথ! একমাত্র সরকারের সদিচ্ছাই সেই দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে পারে, ফিরিয়ে আনতে পারে হরতাল-অবরোধময় ফাঁকা রাস্তাঘাট। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলকে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারও জনগণের ওপর অভিমান করে যখন তখন হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করে ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা রাখতে পারে।

গ্রামেও টাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করা

কথায় আছে, ‘ঢাকায় টাকা ওড়ে’, আর এই টাকার লোভেই ঢাকায় পড়ে আছে কোটি কোটি মানুষ। এই মানুষদের গ্রামে ফেরানোর জন্য গ্রামগঞ্জ-মফস্বলেও টাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে ‘গ্রামে টাকা ওড়ানো’ খাতে একটা বিশাল বরাদ্দও থাকতে পারে।

ঢাকার নাম পরিবর্তন

এত কিছু করতে না চাইলে সোজাসুজি ঢাকার নাম বদলে ‘ফাঁকা’ রাখা যেতে পারে। ঢাকা শহর তখন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে যাবে ‘ফাঁকা শহর’!

Advertisement