যোগব্যায়াম কেন করবেন?

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সুস্থতার থেকে বড় কিছুই নেই। কথাটা সব সময় খেয়াল থাকুক আর না থাকুক, সামান্য একটু অসুস্থ হলে তা টের পাওয়া যায়। লম্বা সময় একটানা বসে থাকা, না খেয়ে থাকা, ভেজাল খাবার, একবারে অনেকটা খেয়ে ফেলা, তেল-চর্বি বা ভাজা-পোড়া খাওয়াই শুধু শারীরিক অসুস্থতার কারণ নয়। ব্যস্ত জীবনে হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রমের সুযোগ না থাকাও অনেক রোগের কারণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকেই বাড়তে শুরু করে ওজন। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত এসব ওজন তৈরি করে নানা শারীরিক সমস্যা।

সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম আর শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। হাঁটাচলা, দড়িলাফ, সাইকেল চালানো, সাঁতার, দৌড়—এসব ব্যায়াম করা তো অবশ্যই ভালো। তবে শহুরে জীবনে এগুলোর জন্য সময় বের করা বেশ কঠিন। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সুস্থ থাকার জন্য যোগব্যায়াম বা ইয়োগা করা যায়। নিজের ঘরেই তা সম্ভব

যেকোনো বয়স, শারীরিক গঠন আর ওজনের মানুষ যোগব্যায়াম করতে পারেন। তবে কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকলে বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে করা উচিত।

যোগব্যায়ামকে গবেষকেরা শুধু একটু নির্দিষ্ট ব্যায়াম বলেন না, তাঁরা বলেন এটি একধরনের ভালো অভ্যাস। যা অনিদ্রা, মানসিক অসুখ, বিষণ্নতা, বাড়তি ওজন, মনের চাপ, অমনযোগিতা কমিয়ে আনতে পারে। এমনকি যেকোনো ধরনের নেশা কাটাতে এর বিকল্প নেই। আর সারা পৃথিবীজুড়েই রয়েছে এর জনপ্রিয়তা।

যোগব্যায়ামে প্রতিবারই আপনি শিখতে পারেন নতুন কোনো আসন। ফলে একঘেয়েমি আসে না। আর পুরোনো আসন শিখতে পারেন নিখুঁতভাবে। অসাধারণ সব আসন বাড়তি ওজনের সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা, হাঁটু আর মাংসপেশির ব্যথা থেকেও মুক্তি দেবে।

প্রশিক্ষকেরা জানান, যোগব্যায়ামচর্চার অন্তত এক ঘণ্টা আগে খাবার খেতে হবে। ভরা পেটে এটা করা ঠিক না। তবে খুব ক্ষুধা পেলে একটা কলা খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া যোগব্যায়ামের বেলায় দম নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। সেটি চর্চা করতে হবে নিয়মিত।

Advertisement