সাদাকালো টেলিভিশনের লাল নীল শৈশব

ফারজানা ইসলাম লিনু

একান্নবর্তী বাড়ি আমাদের। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিতে বিস্তর ফারাক থাকলেও এ ধরনের পরিবারে জন্ম ও বেড়ে উঠার মাঝে আলাদা আনন্দ আছে। প্রতিটা স্মৃতিই ঘটনাবহুল ও বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ।

টেলিভিশন বা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নিয়েও রয়েছে অনেক মজার মজার স্মৃতি। টেলিভিশন যন্ত্রটা এদেশে পরিচিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের ঢাকাবাসী মেঝো চাচিআম্মা এক আত্মীয় মারফত আমেরিকা থেকে একটা টেলিভিশন নিয়ে আসেন। খোদ ঢাকা শহরেই সেই বারো ইঞ্চি মাপের সাদাকালো টেলিভিশন দেখার জন্য ভীড় লেগে যেত তখন।

আর আমাদের বাড়িতে তখন বিদ্যুতের আলো পৌছায় নি, তাই টেলিভিশন বিলাসিতার তো প্রশ্নই উঠেনা। ক’বছর পর আশির দশকের গোঁড়াতেই প্রত্যন্ত এই গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌছে যায়। সে সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির অনুমতি আমাদের বাড়ি পর্যন্ত নেয়া এত সহজসাধ্য ছিলনা। আব্বা আর ছোট চাচা পিডিবিতে চাকুরীর সুবাধে এই অসাধ্য তখন সাধন হয়েছিল। প্রতিটা ঘরে বাতির রাজা ফিলিপস লাগানোর পর তো সব ফকফকা। আমরা তখন অনেক ছোট। বিনোদন পাগল বাবুল চাচার মন আনচান করে একটা টেলিভিশনের জন্য। এর আগ পর্যন্ত বড় চাচার রেডিওটা ছিল বিনোদনের একমাত্র ভরসা। আশেপাশের উৎসুক শ্রোতারা ওৎ পেতে থাকতেন বাংলা সিনেমার গানের অনুরোধের আসর শোনার জন্য। যদিও বড়চাচা খবর শুনা শেষ করেই ঠাস করে রেডিও বন্ধ করে দিতেন। বড়চাচাকে অনুরোধের সাহস কারো না থাকাতে এই পর্যন্ত বিনোদন স্থগিত । বাবুল চাচা ছয় ব্যাটারি লাগিয়ে মাঝেমাঝে উনার ট্রানজিস্টার দিয়ে সবাইকে বিনোদিত করতেন। টেলিভিশনের ইচ্ছাটা চাচা বেশিদিন দমিয়ে রাখতে পারলেন না। কিনে আনলেন একটা চৌদ্দ ইঞ্চি সাদাকালো টেলিভিশন। হালকা নীল রঙের একটা স্ক্রিন পেপার লাগিয়ে দেয়া হল টেলিভিশনটার মহামূল্যবান স্ক্রিনে। যথাযথ সুরক্ষার জন্য একটা বাক্স বানানো হলো। বেরসিক চোরের হাত বাঁচানোর জন্য তালা মেরে রাখা হত সেই বাক্সে। কোন বাড়িতে টেলিভিশন আছে জানলে চোরের উৎপাত বেড়ে যেত, তাই তো বাড়তি নিরাপত্তা। প্রতিদিন বিকেলে সবাই তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করতাম কখন একমাত্র চ্যানেল বিটিভির অধিবেশন শুরু হবে। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, ত্রিপিটক পাঠ, বাইবেল পাঠ শেষে অনুষ্ঠান শুরু হবে, এমন সময় চলে যেত বিদ্যুৎ। আহারে শখের টেলিভিশন! মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ থাকলে অখাদ্য অনুষ্ঠান গিলতাম প্রবল আগ্রহে। একটা সাপ্তাহিক নাটক, একটা ধারাবাহিক, নতুন কুড়ি, এসো গান শিখি, কার্টুন এইসব নিয়ে ছিল সপ্তাহের পরিবেশনা। ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ছিল অনেক জনপ্রিয়। বহু প্রতীক্ষিত বাংলা সিনেমা ছিল মাসে এক দিন। খুব উদ্দীপনা নিয়ে আয়োজন করে সিনেমা দেখা হত। রাত আটটার বাংলা সিনেমার পর বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে যখন অধৈর্য্য অবস্থা তখন শুরু হত বড় সাধের সিনেমা। ঘরভর্তি নানা বয়সের মানুষ। সবার মধ্যে টানটান উত্তেজনা। সিনেমার শুরু হওয়ার পর সুনসান নিরবতা। একটু দেখতে না দেখতেই আবার ‘আলমের এক নম্বর পচা সাবান’ বা ‘সাজাবে সখি তারে কেশবতি করে দেবে এপি ফিফটিন কেশ তেল’… দিয়ে শুরু হল বিজ্ঞাপন। আহ বিজ্ঞাপনের হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আবারও সিনেমার বাকি অংশ শুরু। ক্লাইম্যাক্স লাগবে লাগবে এমন সময় রাত দশটার ইংরেজি সংবাদ নিয়ে মামুন সিরাজুল মজিদ হাজির। ইশ আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে আবার। উত্তেজিত দর্শকদের উত্তপ্ত বাক্যলাপ ও বিরক্তি প্রকাশ চলতো ক্রমাগত। ঘুমে কাতর দর্শকদের কিয়দংশের বিদায়ে টিভি রুমের পরিবেশ কিছুটা স্বস্তিদায়ক আপাতত। কিন্তু বাদ সাধে সিনেমার করুন ক্লাইম্যাক্স। নায়ক নায়িকার বিচ্ছেদ বেদনায় ভগ্ন হৃদয় দর্শকরা কেঁদে বুক ভাসায়। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি এমন দুঃখের সিনেমা আর জীবনেও দেখবো না। যদিও শেষটা মহামিলন দিয়েই সমাপ্ত হয়। তারপরও টিভির উপর খুব রাগ লাগতো, একটা সুখের সিনেমা দেখালে কি এমন ক্ষতি হত? পরের মাস আসতে আসতে ভুলে যাই এই কষ্ট। আবারও পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমার আসর। এইবার নাগিন সুরে সাপের নৃত্য দিয়ে শুরু যদি হয় কোন সিনেমা, তা হলে তো আমার গুড়ে বালি অবস্থা। সরিসৃপ প্রাণীটার সাথে আমার কোন আপোষ নেই। আমি টিভি রুম ত্যাগ করি। বিছানায় শুয়েও শান্তি নাই, নাগিন বাঁশির সুর এইখানেও আসে। ঘুমে বাঁধ সাধে। কান বন্ধ করে ঘুমাই। বড় হওয়ার পরও ভয় কাটেনা। সাপের সিনেমা আমি দেখিনা। দূর থেকে গান কানে বাজে…. ….. “বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে।” আরো কিছু গান ছিল, ঠিক এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা।
কোন কোন সিনেমার গান গুলো মনে ধরতো অনেক বেশি। “আয়নাতে অই মুখ দেখবে যখন… কপালের কালো তিল পড়বে চোখে।” আসলেই গান গুলো কালজয়ী ছিল। গানের কথা, সুর সব কিছুতেই ছিল রুচির ছাপ। সিনেমায় দেখে সাথে সাথে অল্প দু’এক কলি মুখস্থ হয়ে যেত। ঐ কলি গুলো গাইতে গাইতে হঠাৎ একদিন পুরো গানটা রেডিওতে শুনা গেলে কি যে ভালো লাগতো তখন।
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাগুলো অনেক জনপ্রিয় ছিল। বেচারা শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পড়ে যতখানি খারাপ লাগতো তার চেয়ে অনেক বেশি কান্না আসতো সিনেমা গুলো দেখে। দেবদাস, বিরাজ বৌ, শুভদা কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি। তবে সবগুলোতে প্যানপ্যানানি একটু বেশিই থাকতো।
ঈদ আনন্দ মেলা, ঈদের নাটক ও সিনেমার বিশেষ আকর্ষন ছিল। ঈদের কমন নাটক হুমায়ুন আহমেদের ‘একদিন হঠাৎ’,। ছোটমামা, অভি, রহিমার মা সবাইতো অতি চেনা মানুষ আমাদের। এদের পাগলামিও অনেক উপভোগ্য ছিল।
মেগা ধারাবাহিক এইসব দিন রাত্রি দেখতে সে কি প্রতিক্ষা। বেচারি টুনির মৃত্যুটা মেনে নেয়া বড় কষ্টের ছিল। তখন কি আর বুঝতাম টুনির খুনি যে হুমায়ুন আহমেদ নিজেই।
বাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়াতে কি না জানিনা মাঝেমাঝে দিল্লী দুরদর্শন এসে হানা দিত আমাদের টেলিভিশনে। অতি উৎসাহের এইখানেও কমতি নেই। এন্টেনা ঘুরাতে ঘুরাতে মাথা নষ্ট, তাও ডিডি ওয়ানে মহাভারত বা অন্য কোন অনুষ্ঠান দেখা বন্ধ নেই। এন্টেনার দুইপাশে দুইটা এ্যালুমিনিয়ামের সরা লাগালে কিছুটা পরিষ্কার দেখা যেত ডিডি ওয়ান। একটুখানি বৃষ্টি বাতাসে এন্টেনা একটু নড়লেই হয়েছে, একজন গিয়ে এন্টেনার বাঁশ ঘুরাবে আর বাকিরা ভেতর থেকে হইছে, হইছেনা আপডেট দিবে। ঝিরঝির অস্পষ্ট ছবি আমাদের ধৈর্য্যচ্যুতি তেমন ঘটাতে পারেনা। অনুষ্ঠান পুরোপুরি শেষ করেই টিভি রুম ত্যাগ করি আমরা কঠিন ধৈর্য্যের পরিক্ষা দিয়ে।

মেঘে মেঘে বেলা বাড়ে। বাড়ে পড়াশোনার চাপ। ততদিনে টিভির নেশা আমাদের সেই রকম পেয়ে বসেছে। অভিভাবকরা বড্ড চিন্তিত। পড়াশোনাটা মনে হয় গোল্লায় গেল। সার্বজনীন সিদ্ধান্তে টিভির বাক্সে তালা লাগানো হল, বিনা অনুমতিতে অসময়ে টিভি ছাড়া নিষেধ। পড়াশোনা শেষ করে তবে না একটু দেখার অনুমতি মিলতো। তাও সপ্তাহে দুইদিন দুইটি নাটক, শুক্রবারে নতুন কুড়ি ও এসো গান শিখি।

বাড়ি ভর্তি ছানাপোনা। টিভি দেখতে কারো ক্লান্তি নেই। ততদিনে বাড়িতে আরেকটা টিভি এসেছে। মেজো চাচি আম্মার সেই আমেরিকান টিভিটারও জায়গা হয়েছে আমাদের ঘরে। বয়স হয়েছে যন্ত্রটার তাই চাপ নিতে পারেনা, অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হয় বেসুরো শব্দ আর ছবির বিকৃতি। মাঝেমাঝে ছবি আসেনা, তখন অনেক জোরে বাড়ি দিতে হয়। প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিছানায় শুয়ে বসে অতিরিক্ত টিভি দেখার কোন সুযোগ নেই।

সবার সাথে নির্দিষ্ট সময়ে চাচার রুমে গিয়ে টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক।

ছিয়াশি সাল, জাতীয় নির্বাচন এসেছে দেশে। আমাদের উত্তেজনার শেষ নেই। দেশ, গণতন্ত্র বা সরকার নিয়ে নয়, আমাদের উত্তেজনা অন্য জায়গায়। নির্বাচনি খবর প্রচারের জন্য বিটিভি কতৃপক্ষ তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দর্শকদের ধরে রাখার জন্য বিরামহীন ভাবে চলবে বাংলা সিনেমা। একসাথে তিন চারটা সিনেমা দেখার ফাও সুযোগ কে হাতছাড়া করে? পড়াশুনা থেকেও আমরা নিরাপদে আছি। কারণ জাতীয় নির্বাচনের কারণে স্কুল বন্ধ দেয়া হয়েছে। এরশাদ সাহেবের তেলেসমাতি নির্বাচনী খবরকে তুচ্ছ করে বিশাল আয়োজনে সিনেমা দেখা শুরু হল। হায় কপাল, সিনেমা দেখায় বিঘ্ন ঘটিয়ে দুই মিনিট পরপর নির্বাচন নির্বাচন লিখা বাক্সটা কি সব আজাইরা খবর নিয়ে আসে।

এক সিনেমা শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বসতে বসতে হাত পায়ে শিকড় গজায়, তাতে কিছু যায় আসেনা আমাদের। খালি বিরক্ত লাগে নির্বাচনি বাক্সটার উপর। সিনেমা দেখার এই সাময়িক বাধার জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তিরষ্কার করা হয়। যদিও তিরষ্কারটা জায়গামত পৌছায় না।

দিন আরো গড়িয়েছে। বিটিভির অনুষ্ঠানের মান আরো বেড়েছে। এখন আর মাসে নয়, প্রতি শুক্রবার বিকেলে একটা বাংলা সিনেমা দেখায়। সাপ্তাহিক ও ধারাবাহিক নাটকের সাথে নাটকের পুনঃপ্রচারের অনুষ্ঠান মনের মুকুরেতে দেখা না দেখা নাটক দেখার আরেকটা সুযোগ থাকে। মাসে তিন মাসে হানিফ সংকেত নিয়ে আসেন ইত্যাদি। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের পুরোটাই মুগ্ধতা নিয়ে ছেলেবুড়ো সবাই দেখে।

সব অনুষ্ঠান উপভোগ্য হলেও বাংলা সিনেমা দেখতে প্রবল বিপত্তি ঘটাতো পাশের বাড়ির সাফিয়া। দর্শক হিসেবে সে অতিমাত্রায় সিরিয়াস। সিনেমার স্বভাবসুলভ ক্যাচাল ও মারামারি লাগার সাথে সাথেই শুরু হয় সাফিয়ার উত্তেজনা । বসা থেকে সে আস্তে আস্তে উঠে দাড়ায়, তারপর হাটিহাটি পা পা করে টিভির দিকে এগিয়ে যায়। টিভির সামনে ঠায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। উত্তেজনায়, রাগে, দুঃখে সাফিয়া ভুলে যায় বাদবাকি দর্শকদের কথা। উত্তেজিত দর্শকদের একাংশ তাকে জোরে ধরে এনে বসালে আবার উঠে টিভির সামনে চলে যায়। তাছাড়া অঝোর নয়নে কান্না তো আছেই। সিনেমায় মিলমিশ হওয়ার পর ধপ করে বসে সাফিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। আস্তে আস্তে মুছতে থাকে চোখের পানি। সিনেমা দেখায় বিঘ্নতা কাটানোর জন্য সাফিয়াকে কঠিন শর্তে পরবর্তী সিনেমা দেখার সুযোগ দেয়া হয়। যদিও এসব শর্ত সাফিয়া সিনেমা আরম্ভ হলেই ভুলে যায়।

বিটিভির পঁচিশ বছর পুর্তি বা রজত জয়ন্তীতে টেলিভিশনের আর্কাইভ থেকে কত না দেখা অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার হল তার ইয়ত্তা নেই। আবার তোরা মানুষ হও, ওরা এগারো জন, আলোর মিছিল সিনেমা গুলো দেখে কে বলবে আমাদের কোন অর্জন নেই?

সময় গড়াতেই থাকে। টিভির মুগ্ধতা তো কাটেনা। নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সংসপ্তক, অয়োময়, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই…… কত যে নাটক দেখা হয়। বিদেশি জনপ্রিয় সিনেমা, সিরিয়াল ও কার্টুন চলতে থাকে সমানে। টেলিফিল্ম ও প্যাকেজ নাটকের সাথে পরিচিতি হয় আমাদের, তথাপি পড়তে থাকে বিটিভির নাটকের মান। স্যাটেলাইট, ডিশএন্টেনা ও ক্যাবল টিভি আসে ঘরেঘরে। আউল বাউল লালনের দেশে মাইকেল জ্যাকসনের পদধুলি পড়ে, সাধের একতারা, দুতারা ও সারিন্দা কেঁদে কেটে একাকার হয়। জি বাংলা আর স্টারজলসার নিচে চাপা পড়ে বিটিভি। প্রত্যন্ত গ্রামেও জনপ্রিয়তা পায় এসব চ্যানেলের সিরিয়াল। পরকিয়া, পারিবারিক অশান্তি আগেও ছিল, তখন বলা হত শিক্ষা ও মুল্যবোধের অভাবে মানুষ এগুলো করে। এখন নন্দঘোষের মত দোষ দেয়া হয় জি বাংলা আর স্টার জলসাকে। আকাশ সংস্কৃতির বিস্তারে আর প্রযুক্তির কল্যানে মানুষের জীবন যাত্রার মানে এসেছে বিশাল পরিবর্তন। পরিবর্তনের প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে আমাদের মুল্যবোধ। যান্ত্রিকতায় পরিপূর্ণ জীবনে এক পশলা শান্তি সাদাকালো টেলিভিশনের বর্ণিল স্মৃতি। প্রায়ই সাদাকালো টেলিভিশনটার স্মৃতি উঁকিঝুঁকি মারে মনের কোঠায়। একাএকা হেসে কুটিকুটি হই সেইসব দিনের কথা স্মরণ করে। চারকোণা এই বাক্সের সাথে যে জড়িয়ে আছে আমাদের কত স্মৃতি, আবেগ,অনুভূতি।

ফারজানা ইসলাম লিনু,(গল্পকার, শিক্ষক, কন্টিবিউটর ব্রিটবাংলা)
Advertisement